২২ মের মধ্যে জাতীয় স্টেডিয়াম প্রস্তুত চায় বাফুফে

bangabandhu stadium
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ১০ জুন। ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। তার আগেই পল্টনে অবস্থিত জাতীয় স্টেডিয়াম হস্তান্তর করার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

গতকাল রোববার বাফুফে ও এনএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এএফসি ম্যাচ কমিশনার মিন্দু দর্জি স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করেছেন। দিনের বেলায় ভেন্যুটির সুযোগ-সুবিধাগুলো তিনি ঘুরে দেখেছেন। রাতে পর্যবেক্ষণ করেছেন ফ্লাডলাইট ও জায়ান্ট স্ক্রিন।

২০২১ সালের আগস্ট থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ চলছে। ফুটবল ইভেন্টের জন্য এটি বাংলাদেশের প্রধান ভেন্যু।

পরিদর্শনের পর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান হিল্টন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। মিন্দুর পর্যবেক্ষণ কী কী উঠে এসেছে তা জানান তিনি, 'এএফসি প্রতিনিধি স্টেডিয়ামের চিত্র নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে কিছু ছোট ছোট পর্যবেক্ষণ রয়েছে তার। ম্যাচ কমিশনারের রুম, ডোপ টেস্ট রুম, ড্রেসিং রুম ইত্যাদি। তবে প্রধান সমস্যা হলো পিচ ও ফ্লাডলাইট।'

স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ করে হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি যোগ করেন, 'জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও ছিলেন এবং আমরা সবাই এএফসি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা এনএসসিকে ফ্লাডলাইট ঠিক করার জন্য আগামী ১০ মে এবং পুরো মাঠ ও অন্যান্য অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন করার জন্য ২২ মে পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছি।'

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল দীর্ঘদিন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক প্রতিযোগিতা এই স্টেডিয়ামে হয়েছে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্টেডিয়ামটির নাম বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে সেটার চূড়ান্ত অনুমোদন মেলে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন নামকরণ করেছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

2h ago