প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে আরও ২ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া আরও দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে প্লট বরাদ্দের অনিয়ম সংক্রান্ত ছয়টি মামলার সব কটিতেই আদালত শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করলেন।

দুদক কর্মকর্তারা অভিযুক্ত ১৮ জনকেই পলাতক হিসেবে দেখিয়েছেন, কারণ তারা কোনো আদালত থেকে জামিন নেননি।

সেই সঙ্গে যেসব থানায় হওয়া মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে এই পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেদিন যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও রয়েছেন।

এ ছাড়া, গত ১০ এপ্রিল একই আদালত প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অপর একটি মামলায় শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ দুদক এই ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনা, জয়সহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক এলাকায় ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদক এই ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করেছিল। ছয়টি মামলার সবগুলোতে শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের নথি অনুযায়ী, শেখ হাসিনা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে নিয়ম লঙ্ঘন করে নিজের নামে, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে ওই ছয়টি প্লট বরাদ্দ করিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
RMG violence

Violence in Bangladesh’s RMG sector: Disposable lives, dispensable labour

Can we imagine and construct a political system that refuses to subordinate human dignity to the demands of global accumulation?

10h ago