যে পণ্যে সাড়ে ৩ হাজার শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন শুল্ক
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আমদানি করা পণ্যের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কহার নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব সবারই কমবেশি জানা। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, চীনের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি তথা ১৪৫ শতাংশ শুল্ক দিয়েছে।

কিন্তু, আজ মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় উৎপাদিত সোলার প্যানেলের ওপর অন্তত তিন হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক ধরার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শীর্ষ সোলার প্যানেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তৎকালীন বাইডেনের প্রশাসনকে নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। এ নিয়ে গত এক বছর তদন্ত করা হয়।

সেই তদন্তের পর বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন সোলার প্যানেলের ওপর এই পরিমাণ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিলো।

প্রস্তাবিত এই শুল্ক কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের যেসব প্রতিষ্ঠান চীনের অর্থে পরিচালিত হয় এবং সস্তায় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য বিক্রি করে সেগুলোর ওপরও প্রযোজ্য হবে। তবে দেশ ও প্রতিষ্ঠান ভেদে শুল্কের পরিমাণ ভিন্ন হবে।

আগামী জুনে মার্কিন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কম্বোডিয়ার কয়েকটি সোলার যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর সর্বোচ্চ তিন হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। কেননা, সেসব প্রতিষ্ঠান মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের তদন্তের সময় পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি।

মালয়েশিয়ায় চীনা প্রতিষ্ঠান জিনকো সোলারের পণ্যের ওপর সবচেয়ে কম ৪১ শতাংশ শুল্কের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

থাইল্যান্ডে চীনা প্রতিষ্ঠান ট্রিনা সোলারের পণ্যের ওপর ৩৭৫ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে।

কোনো প্রতিষ্ঠানই এ বিষয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপ করা শুল্ক এড়াতে অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় কারখানা স্থানান্তর করে।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের তদন্তকে আমেরিকান অ্যালায়েন্স ফর সোলার ম্যানুফেকচারিং ট্রেড কমিটি স্বাগত জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কৌঁসুলি টিম ব্রাইটবিল ব্রিটিশ গণমাধ্যমটিকে বলেন, 'এটা নিশ্চিত আমাদের জন্য বিজয়। সবাই জানেন যে চীনা সোলার প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণা করে আসছে।'

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সেই চার দেশ থেকে অন্তত ১২ বিলিয়ন ডলারের সোলার যন্ত্রপাতি কিনেছিল।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Myanmar solely responsible for creating favourable conditions for Rohingyas’ return: UN

11 Western countries stress lasting solution hinges on peace and stability in Myanmar

23m ago