নরসিংদীতে বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

আমির সরকার। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আলোকবালী উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আমির সরকার (৩০) আলোকবালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও সাবেক ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আমির ও জব্বারের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধ ছিল। বিরোধ থেকে আমির সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

এ সময় আমির সরকারের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসমিন আক্তার নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের বিএনপিকর্মী আব্দুল জব্বার মিয়ার সঙ্গে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন নিয়ে বিরোধ ছিল আমিরের। ২০২১ সালে একই ওয়ার্ডে আব্দুল জব্বারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমির সরকার ইউপি সদস্য পদে জয়ী হন। এ ছাড়াও, তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল বলে জানতে পেরেছি।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে জব্বার ও তার লোকজন আমিরকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে আমিরের পরিবারের।

তাদের আরেক ভাই সোহরাব মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত রাতে আমার বড় ভাই রফিকুল নয় বছর পর মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। আমির ভাই তাকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসেন। আজ দুপুরে বিএনপি নেতা জব্বার, তারা মিয়া, আমিরুল (২৬), আলী (২৫), জিহাদ (২২), খোকন মিয়াসহ ১০-১২ জন আমার দুই ভাইকে কোপায়।'

তাদের আরেক ভাই জুয়েল মিয়া বলেন বলেন, 'ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার নির্দেশে তার কর্মী জব্বার ও তার লোকজন আমিরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। জব্বার আগের একটি হত্যা মামলার এজেহারভুক্ত আসামি।'

নরসিংদী সদর হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার সজিব সাহা বলেন, 'আমির সরকারকে মৃত অবস্থায় আমাদের কাছে আনা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।'

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে বিএনপিকর্মী আব্দুল জব্বার মিয়াকে ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে নরসিংদী সদর বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। হত্যার সঙ্গে দলীয় কেউ জড়িত থাকলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago