বর্তমান সরকার নির্বাচন চায় না: হাফিজ উদ্দিন

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চায় না।

তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের আচরণ, কথাবার্তায় স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তারা গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে দেবে না।

আজ শনিবার মতিঝিলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৭ বছর সংগ্রাম করলাম একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। কিন্তু নির্বাচনের তো কোনো নাম-নিশানা দেখতে পাচ্ছি না। ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী দুই তিন পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তার কারণ বর্তমান সরকার নির্বাচন চায় না। তারা মুখে এটি বলে না, কিন্তু তাদের অঙ্গভঙ্গি, অন্যান্য কথাবার্তায়, উপদেষ্টাদের কথাবার্তায় আমাদের মনে প্রতীতি জন্মেছে যে এরা দেশের গণতন্ত্রকে আবার পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেবে না।'

তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস জগৎ বিখ্যাত ব্যক্তি, বিএনপি ওয়াদা করেছে তারা সবসময় তাকে সমর্থন দেবে। তবে গণতন্ত্রকে পুনর্বাসিত করার জন্যে হাজারো শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা উচিত। কিন্তু তাদের মধ্যে কী যে চিন্তাভাবনা, এটি আমরা বুঝতে অক্ষম।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিনিমিনি খেলছে। ফেব্রুয়ারি মাসের এক সভায় বিএনপি মহাসচিবসহ আমরা পাঁচজন মিটিং করলাম। চারজন উপদেষ্টাসহ প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে বসলেন। মিটিংয়ের পরে ঘোষণা দিলেন যে ডিসেম্বরে ইলেকশন হবে। এক সপ্তাহ পরে দেখি যে সেই ঘোষণা আর থাকল না। এখন পরের বছরে জুনের মধ্যে ইলেকশন হবে। এইভাবে একটি রাষ্ট্রকে নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলছেন।'

মানবিক করিডর নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা কি জনগণের সম্মতি ছাড়াই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি? দেশের মানুষ আজকে অনেক উৎকণ্ঠিত। আমরাও উৎকণ্ঠিত।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আমরা কিছুই জানি না আগামী দিনে এই রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে। আমরা তো কিছুই চাই না। আমরা শুধুমাত্র একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ যাকে খুশি ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের দলকে ক্ষমতায় নিক আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

হাফিজ আরও বলেন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

'যদি সে আমার কথা শুনতো এবং এইভাবে রাজনীতিতে না যেত, এই ধরনের আমি-ডামি ইলেকশনের মধ্যে না যেত, আজকে সে অনেক সম্মানের সঙ্গে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতে পারত। এখন তো তার বাড়ি আসাই মুশকিল হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya repatriation unlikely amid Myanmar’s civil war: foreign adviser

He highlights the 2017 mass exodus—prompted by brutal military crackdowns was the third major wave of Rohingyas fleeing Myanmar

14m ago