রোহিতের পর টেস্ট থেকে অবসরে যাচ্ছেন কোহলি?

ছবি: এএফপি

ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান। এই ইচ্ছার কথা ইতোমধ্যে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, শনিবার এমন খবর প্রকাশ করেছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী তারকা সম্প্রতি ক্রিকেটের পাঁচ দিনের সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই চাওয়া পুনর্বিবেচনার জন্য তাকে অনুরোধ করেছেন।

সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'তিনি (কোহলি) মনস্থির করে ফেলেছেন এবং বোর্ডকে জানিয়েছেন যে, তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। বিসিসিআই তাকে অনুরোধ করেছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য, কারণ সামনে (আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে) গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফর রয়েছে। তিনি এখনও সেই অনুরোধের জবাব দেননি।'

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের অধিনায়ক ও আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার রোহিত শর্মা। এর তিন দিনের মধ্যে এসেছে কোহলির সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার খবর।

কোহলি ও রোহিত দুজনই গত বছর ভারতের হয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একসঙ্গে অবসর নিয়েছিলেন।

২০১১ সালে অভিষেকের পর জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১২৩ টেস্ট খেলেছেন কোহলি। ৪৬.৮৫ গড়ে ৩০টি সেঞ্চুরিসহ ৯২৩০ রান করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য তার ব্যাটিং গড় বেশ কমেছে। গত পাঁচ বছরে ৩৭ টেস্টে মাত্র তিনটি সেঞ্চুরিসহ ১৯৯০ রান করেছেন। কয়েক মাস আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ টেস্টে মাত্র ২৩.৭৫ গড়ে ১৯০ রান করেন তিনি।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে আগামী মাসে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। লিডসে দুই দলের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২০ জুন। পরের ম্যাচগুলোর ভেন্যু যথাক্রমে বার্মিংহ্যাম, লর্ডস, ম্যানচেস্টার ও ওভাল।

ইংল্যান্ডের মাটিতে কোহলির পারফরম্যান্স অবশ্য তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারে না। দেশটিতে ১৭ ম্যাচ খেলে ৩৩.২১ গড়ে তিনি করেছেন ১০৯৬ রান। সেঞ্চুরি করেছেন দুটি, হাফসেঞ্চুরি পাঁচটি। ৩৩ ইনিংসে মাঠে নেমে চারবার আউট হয়েছেন শূন্যতে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago