ভ্যাটিকানে জেলেনস্কির সঙ্গে পোপ চতুর্দশ লিওর সাক্ষাৎ

জেলেনস্কি ও তার স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে দেখা করেন পোপ চতুর্দশ লিও। ছবি: এএফপি
জেলেনস্কি ও তার স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে দেখা করেন পোপ চতুর্দশ লিও। ছবি: এএফপি

নতুন পোপ নির্বাচিত হয়ে একাধিকবার জনসম্মুখে এসেছেন চতুর্দশ লিও। তবে এবারই প্রথম ব্যক্তিগত সাক্ষাতের অনুমতি দিলেন তিনি। সেই সাক্ষাতে অংশগ্রহণ করে ইতিহাসের অংশ হলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ক্যাথলিক চার্চের পোপ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আজই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন পোপ লিও চতুর্দশ।

সকালে প্রথম মার্কিন পোপ লিওর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেলেনস্কি। সেখানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গেও হাত মেলান জেলেনস্কি। পরবর্তীতে ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। 

অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে প্রার্থনায় ৬৯ বছর বয়সী পোপ উল্লেখ করেন, 'দেশ হিসেবে শহীদের মর্যাদা পেয়েছে ইউক্রেন। দেশটি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছে, যখন অবশেষে দরকষাকষির মাধ্যমে ন্যায্য ও টেকসই শান্তি মিলবে।'

প্রার্থনা শেষে জেলেনস্কি অন্যান্যদের সঙ্গে সারিবদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করেন। পোপের সঙ্গে হাত মেলান।

পরবর্তীতে স্ত্রীকে নিয়ে পোপের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতে যোগ দেন ইউক্রেনের নেতা।

ভ্যাটিকান প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, স্বল্পভাষী পোপ ইউক্রেনের নেতাকে বলছেন, 'আপনার সঙ্গে আবারও দেখা হয়ে ভালো লাগল।'

তারপর তিনি জেলেনস্কি ও তার স্ত্রীকে অপেক্ষায় রাখার জন্য ক্ষমা চান।

প্রথা অনুযায়ী তারা একে অপরের সঙ্গে উপহার বিনিময় করেন।

রোববার শুধু দুইটি ব্যক্তিগত সাক্ষাতে যোগ দেন পোপ।

জেলেনস্কির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন পোপ চতুর্দশ লিও। ছবি: এএফপি
জেলেনস্কির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন পোপ চতুর্দশ লিও। ছবি: এএফপি

জেলেনস্কির পর পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের সঙ্গে দেখা করেন। ওই দেশে দুই দশক যাজক হিসেবে কাজ করেছিলেন লিও। এমন কী, পেরুর নাগরিকও তিনি।

প্রার্থনায় ইউক্রেনের জন্য শান্তি কামনার প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি টেলিগ্রামে লেখেন, 'ইউক্রেনে ন্যায্য শান্তির প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিশেষ শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রার্থনায় উল্লেখ করার জন্য এবং ইউক্রেন ও তার জনগণের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য আমরা (পোপের প্রতি) কৃতজ্ঞ।  

'সব জাতির শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাস করার অধিকার রয়েছে', যোগ করেন জেলেনস্কি।

তিনি পোপকে 'অসাধারণ একটি উদ্যোগ শুরুর জন্য' অভিনন্দন জানান।

'আশা করি সকল মানুষের ন্যায়সঙ্গত শান্তি ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার রক্ষার আহবানটি সবার কানে পৌঁছে যাবে', যোগ করেন তিনি। 

প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস বেশ কয়েকবার জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বারবার ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। এমন কী, তিনি এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য ভ্যাটিকান থেকে একজন বিশেষ প্রতিনিধিও নিয়োগ দেন, যিনি কিয়েভ ও মস্কো সফর করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

12h ago