বেয়াইকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ফ্রান্স পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পও নিয়মিত পত্রিকার শিরোনাম হন। তবে এবার ইভাঙ্কা আলোচনায় এসেছেন ভিন্নধর্মী এক কারণে।
ইভাঙ্কাকে বিয়ে করে ট্রাম্পের জামাতা হন মার্কিন ব্যবসায়ী জ্যারেড কুশনার। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ফ্রান্সে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে জ্যারেডের বাবা চার্লস কুশনারের নাম প্রস্তাব করেন ট্রাম্প।
এবার তার সেই মনোনয়নের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। সিনেটে ৫১-৪৫ ভোটে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্পের বেয়াই'র নিয়োগ নিশ্চিত হয়।
পেশায় আবাসন ব্যবসায়ী ও আইনজীবী জ্যারেড কুশনারকে ঘিরে খানিকটা বিতর্ক রয়েছে। ২০০৪ সালে কর ফাঁকি সহ বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ফেডারেল কারাগারে ছিলেন তিনি। তবে প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে তাকে ক্ষমা করেন ট্রাম্প ।
২০০৯ সালে ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন জ্যারেড কুশনার।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন জ্যারেড। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
৭১ বছর বয়সী চার্লস কুশনার এমন এক সময়ে ফ্রান্সে যাচ্ছেন যখন প্যারিস-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে ।
ফ্রান্সে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে কুশনারকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন, 'কুশনার ব্যবসা খাতের নেতা। তিনি দানশীল ও "ডিলমেকার"। তিনি আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব ও স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবেন।'
প্যারিসে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কুশনার মোনাকোতেও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন ।
Comments