দল-মার্কা না দেখে ভালো মানুষকে নির্বাচিত করুন: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, 'রাজনৈতিক দল দেখার দরকার নাই। মার্কা দেখার দরকার নাই। যে মানুষটা ভালো, যে মানুষটা টাকা ছাড়া আপনার কথা বলে, আপনার জন্য কাজ করে, তাদেরকে আগামীর বাংলাদেশে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন।'

তিনি আরও বলেন, 'এখনো, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও যদি আপনারা দলান্ধ থাকেন, মার্কা দেখে অন্ধভাবে ভোট দেন, তাহলে বাংলাদেশের খুব বেশি পরিবর্তন সম্ভব নয়।'

আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বকুলতলায় এনসিপি আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস বলেন, 'আপনাদেরকে দেখতে হবে, যে লোকটা ভালো কাজ করে, আপনাদের কথা শোনে, নির্বাচন ছাড়াও আপনার এলাকায় আসে, সেই লোকটা যদি কোনো দলের না-ও হয়, তার যদি বড় কোনো মার্কা না-ও থাকে, সেসব মানুষকেই আগামীর বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'বিগত সময়ে রাজনৈতিক যে চর্চা, সেখানে দেখেছি—নেতারা নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ভোট চাইতে আপনাদের কাছে আসে, পরের পাঁচ বছর আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আগামীর বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিতে চায়, তাদের আগে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলা, ইউনিয়নে ঘুরতে হবে। দেখতে হবে, বুঝতে হবে মানুষ কী চায়।

আগামীর বাংলাদেশে চাঁদাবাজের কোনো স্থান হবে না উল্লেখ করে সারজিস বলেন, 'একজন চাঁদাবাজ, সে যে দলেরই হোক না কেন, তার দলের যত ক্ষমতাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়িয়ে যাব।'

'একটা উপজেলায় একজন চাঁদাবাজ শক্তিশালী হতে পারে, তবে সেই ব্যক্তি শেখ হাসিনার চেয়ে বড় ক্ষমতাবান নয়,' বলেন তিনি।

বিগত ১৬ বছরে উত্তরাঞ্চলকে একটি দলের অংশ মনে করে সব সময় বঞ্চিত করা হয়েছে দাবি করে সারজিস বলেন, 'দক্ষিণাঞ্চলের একটি পৌরসভায় যে উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হতো, উত্তরাঞ্চলের একটা জেলাতে সে বরাদ্দ দেওয়া হতো না। দক্ষিণাঞ্চলে একটা এক্সপ্রেসওয়ে করতে যে বরাদ্দ দেওয়া হতো, পুরো রংপুর বিভাগে সে উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হতো না।'

'এই যে উন্নয়ন বৈষম্যের মধ্য দিয়ে বিগত এক যুগ ধরে উত্তরাঞ্চল গেছে, উত্তরাঞ্চলের কোথায় কী সমস্যা সেগুলো রাজপথ থেকে মাঠে-ঘাটে হেঁটে, দেখে সেগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের কাছে বলার জন্য এই সফর,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

6h ago