রান তাড়ার আরেকটি স্মরণীয় গল্প লিখে ভারতকে হারাল ইংল্যান্ড

লিডসের হেডিংলিতে দুর্দান্ত রান তাড়ার আরেকটি স্মরণীয় গল্প লিখল ইংল্যান্ড। নজরকাড়া ব্যাটিংয়ে বেন ডাকেট হাঁকালেন আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে জ্যাক ক্রলির বড় উদ্বোধনী জুটিতে মিলল শক্ত ভিত। এরপর দায়িত্বশীল জো রুটের সঙ্গে জেমি স্মিথ খেললেন হাত খুলে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভারতকে হারিয়ে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে এগিয়ে গেল বেন স্টোকসের দল।
মঙ্গলবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত শেষদিনে ৫ উইকেটে জিতেছে ইংলিশরা। ৩৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে তৃতীয় সেশনে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন স্মিথ। ফলে জয় দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র (২০২৫-২৭) শুরু করল তারা।
এদিন জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৩৫০ রান, ভারতীয়দের ছিল ১০ উইকেট তুলে নেওয়ার চাহিদা। ফলে সম্ভাব্য তিনটি ফলই হতে পারত ম্যাচে। শেষমেশ ব্যাটারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ৭৬ ওভার খেলেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
৯ রান নিয়ে খেলতে নামা ডাকেট ১৭০ বলে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ চার ও ১ ছক্কা। ১২ রান নিয়ে নামা ক্রলি করেন ৭ চারে ১২৬ বলে ৬৫ রান। রুট ৮৪ বলে ৬ চারের সাহায্যে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। স্মিথ ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৫ বলে অপরাজিত ৪৪ রান।
ডাকেট ও ক্রলির ১৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট তুলে নেয় ভারত। তবে তাদেরকে চেপে ধরতে দেননি রুট ও স্মিথ। প্রসিধ কৃষ্ণা ও শার্দুল ঠাকুর নেন দুটি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি দখল করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার নজির এটি। এই মাঠে ১৯৪৮ সালে ৪০৪ করে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। শুধু তাই নয়। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার কীর্তিও গড়েছে ইংলিশরা। ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষেই বার্মিংহামে ৩৭৮ রান করে জিতেছিল তারা।
অন্যদিকে, অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে ভারত। টেস্টে এই প্রথম কোনো দলের পাঁচ ব্যাটার সেঞ্চুরি করার পরও তারা হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে। আগের কীর্তিও ছিল ইংলিশদের বিপরীতে। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে চার ব্যাটার তিন অঙ্ক ছোঁয়া সত্ত্বেও হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
Comments