৩ ঘণ্টা শিথিলের পর আবার কারফিউ, বিপাকে গোপালগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

গোপালগঞ্জ শহরে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। ছবি: স্টার

গোপালগঞ্জে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ৩ ঘণ্টা শিথিল ছিল কারফিউ। এরপর দুপুর ২টা থেকে আবার কারফিউ শুরু হয়েছে।

দুপুরের পর আবার পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের শহরের বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের পর বুধবার রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করা হয় গোপালগঞ্জ শহরে।

সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোপালগঞ্জের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও কারফিউয়ের কারণে তারা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ফল ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগে আছেন। অন্যদিকে, পোশাকসহ অন্যান্য দোকানদাররা বিক্রি বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

লঞ্চঘাট এলাকার ফল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারফিউয়ে দোকান খুলতে না পারায় ৩ দিনে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল নষ্ট হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশের পরামর্শে দোকান বন্ধ করি। আজ সকালে কারফিউ শিথিল হলে ১১টার পর একবার খুলেছি। অনেক ফল নষ্ট হয়ে গেছে।'

পাবলিক হল রোডের কাপড় ব্যবসায়ী কাজী শামীম হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুধবার সকালের পর থেকে দোকান বন্ধ। তিনদিনে সাধারণত ৫০-৬০ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়। পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।'

কারফিউ শিথিল হলে সকাল ১১টার পর চৌরঙ্গী এলাকায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে আসা জিল্লুর রহমান বলেন, 'গত দুই দিন বাসা থেকে বের হতে পারিনি। দরকারি কেনাকাটা ছিল। সেজন্য বের হলাম। কারফিউ শিথিল হলেও পথে লোকজন কম। সবার চোখে-মুখে এক ধরনের ভয়।'

এ সময় বিভিন্ন সড়কে কিছু রিকশা, ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা যায়। তবে সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কম।

পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের দেখা গেলেও সেনাবাহিনীর কোনো টহলযান দেখা যায়নি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সরদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহরের পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। কারফিউ চলাকালে যেন কোনো দোকানপাট খোলা না থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে না।'

Comments

The Daily Star  | English
July uprising

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

12h ago