ফুলগুলো অকালে ঝরে গেল, এই কষ্ট নিতে পারছি না: আবুল হায়াত

abul hayat
অভিনেতা আবুল হায়াত। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

'ফুলগুলো অকালে ঝরে গেল। ফুলগুলো সৌরভ ছড়াতে পারলো না। এইসব ফুল নিয়ে পরিবারের কত স্বপ্ন ছিল। আহারে! সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল,' আক্ষেপের সুরে বলছিলেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে আজ মঙ্গলবার তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আবুল হায়াত বলেন, 'টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। নিউজ দেখলেই কেমন যেন লাগে। বুকে ব্যথা অনুভব হয়, কিছুই ভালো লাগে না। তাই আপাতত টেলিভিশন দেখছি না, চুপচাপ সময় কাটাচ্ছি। এসব দৃশ্য দেখা যায় না। দেখা সম্ভবও না। খারাপ লাগে।'

তিনি বলেন, 'কোমলমতি শিশুরা হারিয়ে গেল। তাদের অভাব কোনো দিনও পূরণ হবে না। পবিত্র মুখগুলো অভিভাবকরা আর দেখতে পারবেন না। ফুলগুলো অকালে ঝরে গেল, এই কষ্ট নিতে পারছি না'

'অনেক শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। যারা ভর্তি আছে তাদের সুস্থতা কামনা করছি। তারা পুরোপুরি সুস্থ হোক, আবার সুন্দর করে জীবন শুরু করুক। আর যারা হারিয়ে গেছে, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। মহান আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন,' যোগ করেন তিনি।

এই অভিনেতা বলেন, 'যাদের পরিবারের সদস্য হারিয়েছে, তারা বুঝতে পারছেন কী হারিয়েছেন। কথায় আছে—যার যায় সেই বোঝে! আমরা খবর দেখেই অস্থির হয়ে পড়ছি, টেনশন করছি, মেনে নিতে পারছি না। অথচ, যার পরিবারের সদস্য মারা গেছে, তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারও নেই। আমি অন্তত ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ভাষাহীন হয়ে পড়ছি।'

জনবহুল নগরীতে বিমান প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, 'এটা ভাবার সময় এসেছে। কর্তৃপক্ষ ভাববে, তাদের ভাবতে হবে। একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়ে গেল। আমাদের সতর্ক হতে হবে এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।'

Comments

The Daily Star  | English

Shahjalal International Airport Terminal-3: Operations face further delay

The launch of Dhaka airport’s third terminal faces a further delay, as the Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) is still negotiating an operation and maintenance agreement -- a prerequisite for starting services -- with a Japanese consortium.

9h ago