কাউকে আউট করে কোনো বোলারকে আগে এমন করতে দেখিনি: ট্রেসকোথিক

ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে মাঠে হচ্ছে টানটান লড়াই আবার একই সঙ্গে স্লেজিংয়ের উত্তেজনাও বিস্তর। ওভালে দ্বিতীয় দিনে বেন ডাকেটকে আউট করে আকাশ দীপের প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক। তার মতে তাদের সময়ে হলে সহজে ছাড় পেতেন না আকাশ।

শুক্রবার ওভালে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে একাধিক উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার জন্ম দেন এই ভারতীয় পেসার। আকাশের সঙ্গে ডাকেটের এই বিতর্কিত ঘটনাটি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে উত্তেজনা তৈরি করে, কারণ দুই দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন প্রায় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে বেন ডাকেট একটি ফ্লিক শট খেলতে গিয়ে ৪৩ রানে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন। উইকেট পাওয়ার পর ভারতীয় পেসার বিদ্রূপ করে ডাকেটের কাঁধে হাত রাখেন। এর কিছুক্ষণ আগেই ডাকেট অবশ্য আকাশকে বলেছিলেন, 'তুমি আমাকে আউট করতে পারবে না।' আউট করে সেই কথার জবাব দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান ভারতীয় পেসার।

আকাশ দীপের এই উস্কানিমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের 'অনুপযুক্ত শারীরিক সংস্পর্শ' সংক্রান্ত নিয়মের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হতে পারে। ডাকেট কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু আকাশকে শান্ত করার জন্য লোকেশ রাহুলকে তাকে টেনে সরিয়ে নিতে হয়, যাতে পরিস্থিতি আর খারাপ না হয়।

২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৬টি টেস্ট খেলা ট্রেসকোথিক আকাশের 'সেন্ড-অফ' দেখে হতবাক হন। তিনি বলেন, তার খেলার সময় এমনটা হলে ডাকেটের মতো শান্ত প্রতিক্রিয়া হতো না, 'আমি কেবল ভাবছিলাম, আমার সময়ে অনেক খেলোয়াড়ই তাকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিত। আমি এর আগে কোনো বোলারকে কাউকে আউট করার পর এমন করতে দেখিনি।'

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচের মতে, 'বোলারদের মধ্যে অনেক কথার আদান-প্রদান হয়, যা আমরা এই সিরিজে উভয় দলের মধ্যেই দেখেছি। কিন্তু এটা ভিন্ন ছিল, তাই না? আমি শুধু হেসেছি এবং মজা করেছি। বেন আসলে তেমন কিছু করে না। মাথা নিচু করে হেঁটে চলে যাওয়াটাই তার কাজ ছিল। তখন আর কিছু করার ছিল না। এমনভাবে তাকে মাঠ থেকে বিদায় জানানোর কোনো দরকার ছিলো না।'

উভয় দলের মধ্যে যখন উত্তেজনা বাড়ছিল, তখন পরে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুট প্রসিদ কৃষ্ণর সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সাধারণত মাঠে শান্ত থাকা রুট কৃষ্ণর দিকে চিৎকার করতে দেখে সবাই অবাক হয়।

- 'অনেক কথা এবং তর্কবিতর্ক' -

দিনের খেলা শেষে প্রসিদ জোর দিয়ে বলেন যে, এটি কেবল মুহূর্তের উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ কৌতুক ছিল, 'এটি খুব ছোট একটি ঘটনা ছিল। এটা কেবল একটি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছিল। মাঠের বাইরে আমরা ভালো বন্ধু। এটি সামান্য কৌতুক ছিল এবং আমরা দুজনেই এটি উপভোগ করেছি।'

রুট শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সিরাজের বলে ২৯ রানে আউট হন। কৃষ্ণ জানান ভারত আগ্রাসী কৌশল নিয়ে রুটকে অস্থির করার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল, 'আমার মনে হয় এটাই পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আমি ভাবিনি যে আমার বলা কয়েকটি কথায় তার কাছ থেকে এত বড় প্রতিক্রিয়া আসবে। আমি তাকে পছন্দ করি, সে একজন কিংবদন্তি। যখন দুইজন মানুষ মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে চায়, তখন এমনটা হয়।'

এদিকে ইংল্যান্ডও তাদের ফিল্ডিংয়ে আগ্রাসী মনোভাব দেখায়। সাই সুদর্শন আউট হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে কিছু একটা বলেন বেন ডাকেট। পরে সাই ফিরে গিয়ে জবাব দেন তাকে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus places 7-point roadmap for Rohingya repatriation

'Time for action now,' he says at dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

46m ago