শেষ বলে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেল বাংলাদেশ

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রানের। প্রথম বলেই ২ রান নিলেন রশিদ খান। ম্যাচ তখন অনেকটাই আফগানিস্তানের হাতে। শেষ ৫ বলে দরকার ৬ রান। উইকেটে তখনও আছেন সেট ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। কিন্তু এরপর শুরু হয় মোস্তাফিজুর রহমানের জাদু। লেগ বাই সূত্রে দিলেন আর মাত্র দুটি রান। ৩ রান দূরে থাকতেই আফগানদের বেঁধে ফেলেন কাটার মাস্টার। বাংলাদেশ নেয় মধুর প্রতিশোধ।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রানের। প্রথম বলেই ২ রান নিলেন রশিদ খান। ম্যাচ তখন অনেকটাই আফগানিস্তানের হাতে। শেষ ৫ বলে দরকার ৬ রান। উইকেটে তখনও আছেন সেট ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। কিন্তু এরপর শুরু হয় মোস্তাফিজুর রহমানের জাদু। লেগ বাই সূত্রে দিলেন আর মাত্র দুটি রান। ৩ রান দূরে থাকতেই আফগানদের বেঁধে ফেলেন কাটার মাস্টার। বাংলাদেশ নেয় মধুর প্রতিশোধ।

গ্রুপ পর্বে তো টাইগাররা উড়েই গিয়েছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেদিন খেলেননি মোস্তাফিজ।  রোববার আবুধাবিতে খেললেন। শুধু খেললেনই না, জয় এনে দিলেন বাংলাদেশকে। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আফগানিস্তান। ফলাফলটা এবার বদলাতে পারে টাইগাররা। ফলে টিকে থাকল টাইগারদের ফাইনাল খেলার আশা। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই স্বপ্নের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৯ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২৪৬ রানে শেষ হয় এশিয়ার নতুন ক্রিকেট পরাশক্তি আফগানিস্তানের ইনিংস। ৩ রানের জয়ে ভালো ভাবেই টুর্নামেন্টে টিকে রইল টাইগাররা।

২৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানে দুটি উইকেট পায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন হাসমতুল্লাহ। এরপর শাহজাদ ফিরে গেলেও অধিনায়ক আসগর আফঘানকে ৭৮ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন তিনি। মূলত তাতেই জয়ের ভিত পেয়েছিল দলটি।

ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ নবি ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারিও গড়েন ৪৬ রানের জুটি। কিন্তু তাদের সব প্রতিরোধ শেষ হয় মোস্তাফিজের জাদুতে। এর আগে জোড়া আঘাত এনে টাইগারদের ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন মাশরাফি। শেষ দিকে বেশ কিছু বাউন্ডারি এনে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিল তারা। টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে এদিনও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হাসমতুল্লাহ। ৭১ রান করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ:  ২৪৯/৭ (৫০ ওভার) (লিটন ৪১, শান্ত ৬, মিঠুন ১, মুশফিক ৩৩, সাকিব ০, ইমরুল ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ৭৪, মাশরাফি ১০, মিরাজ ৫*; আফতাব ৩/৫৪, মুজিব ১/৩৫, গুলবাদিন ০/৫৮, নবী ০/৪৪, রশিদ ১/৪৬, শেনওয়ারি ০/৯)।

আফগানিস্তান: ২৪৬/৭ (৫০ ওভার) (শাহজাদ ৫৩, ইহসানুল্লাহ ৮, রহমত ১, হাসমতুল্লাহ ৭১, আসগর ৩৯, নবী ৩৮ শেনওয়ারি ২৩*, রশিদ ৫, গুলবাদিন ০; মাশরাফি ২/৬২, অপু ০/২৯, মোস্তাফিজ ২/৪৪, মিরাজ ০/৩৬, সাকিব ১/৫৫, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭)।  

ফল: বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

মাশরাফির বলে বোল্ড হাসমুতুল্লাহ

বাংলাদেশের জন্য ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি। রানের গতি বাড়ানোর জন্য হাত খুলেই খেলা শুরু করেছিলেন তিনি। তবে টাইগারদের বড় ভোগান্তিতে ফেলার আগেই তাকে আউট করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বলে লেগে ঘোরাতে গিয়ে মিস করলে বোল্ড হয়ে যান হাসমতুল্লাহ।

৪৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৯৩/৫। ১৪ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ নবি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সামিউল্লাহ শেন ওয়ারি।

জুটি ভাঙলেন মাশরাফি

প্রথম দুই স্পেলে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসেই ফিরিয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক আসগর আফঘানকে। শর্ট থার্ডম্যানে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে আউট হওয়ার আগে আফগানিস্তানকে দারুণ অবস্থানে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। ৪৭ বলে ৩৯ রান করেছেন অধিনায়ক। হাসমতুউল্লাহর সঙ্গে গড়েছেন ৭৮ রানের জুটি।

৪০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৬৯/৪। ৬২ রানে ব্যাট করছেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ নবি।

হাসমুতুল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি

দারুণ ছন্দে আছেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি। বাংলাদেশি বোলারদের কপালে ভাঁজ তুলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপেই করলেন টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ৮০তম বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন তিনি।

৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর । হাসমতুল্লাহ শাহিদি ৫০ ও আসগর আফঘান ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এ দুই ব্যাটসম্যান এর মধ্যেই গড়েছেন ৫৩ রানের জুটি।

শাহজাদকে বোল্ড করলেন মাহমুদউল্লাহ

ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন লড়াকু পুঁজি। এবার বল হাতেও প্রয়োজনীয় সময়ে এনে দিলেন উইকেট। তাও ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মোহাম্মদ শাহজাদকে সরাসরি বোল্ড করে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লেগ স্টাম্পে রাখা বলটি কিছুটা জোরের উপর করেছিলেন তিনি। তাতেই পরাস্ত শাহজাদ। আউট হওয়ার আগে ৮১ বলে করেছেন ৫৩ রান।

২৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৮৯/৩। ২৬ রানে ব্যাট করছেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক আসগর আফঘান।

মোহাম্মদ শাহজাদের হাফসেঞ্চুরি

মাত্র ৯ রানেই ফিরতে পারতেন মোহাম্মদ শাহজাদ। মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। তার খেসারত ভালো ভাবেই দিচ্ছে বাংলাদেশ। দারুণ ব্যাটিং করে এর মধ্যেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শাহজাদ। ৭৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

২২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৮১/২। মোহাম্মদ শাহজাদ ৫১ ও হাসমতুল্লাহ শাহিদি ২০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এ দুই ব্যাটসম্যান এর মধ্যেই গড়েছেন ৫৫ রানের জুটি।

রহমতকে রানআউট করলেন সাকিব

নিজেও এদিন রানআউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাও নিজের দোষেই। এবার তার কিছুটা দায় মোচন করলেন তিনি। নাজমুল ইসলাম অপুর বল পয়েন্টে ঠেলেছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। রান নিতে চেয়েছিলেন রহমত শাহ। পয়েন্টে দৌড়ে তড়িৎ গতিতে বল ধরে সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভাঙেন সাকিব। ৯ বলে ১ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।

৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ২৭/২। ১৭ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ শাহজাদ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি।

ইসসানুল্লাহকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

বল হাতে নিয়েই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ইহসানুল্লাহ জানাত। তবে ঠিক ভাবে করতে পারেননি। পয়েন্টে ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ১১ বলে ৮ রান করেছেন এ ওপেনার।

৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ২০/১। ১১ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ শাহজাদ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রহমত শাহ।

শাহজাদের ক্যাচ ছাড়লেন মিঠুন

চতুর্থ ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। উইকেট থেকে বেরিয়ে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। ঠিকভাবে লাগাতে না পাড়লে বল উঠে যায় আকাশে। মিড অনে দাঁড়ানো মোহাম্মদ মিঠুন বেশ সময় পেয়েও সে বল তালুবন্দি না করতে পাড়লে অভিষেক উইকেটের অপেক্ষা বাড়ে অপুর।

৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ২০/১। মোহাম্মদ শাহজাদ ১১ ও ইহসানুল্লাহ জানাত ৮ রানে ব্যাট করছেন।

ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি

দলের প্রয়োজনীয় সময়েই জ্বলে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দারুণ এক ইনিংস খেললেন তিনি। ১১ মাস পর আবার জাতীয় দলের জার্সি পরার সুযোগ পেয়ে তা বেশ দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন এ ইমরুল কায়েস। দুই ব্যাটসম্যান ভাঙলেন ১৯ বছরের রেকর্ড। আর তাদের এ জুটিতে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে  রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

বরাবরের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছে ওপেনিং জুটি। দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম হলেন রানআউট। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুলের প্রতিরোধ। তাতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর অপরাজিত ৭২ রান করেন ইমরুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ:  ২৪৯/৭ (৫০ ওভার) (লিটন ৪১,  শান্ত ৬,  মিঠুন ১,  মুশফিক ৩৩ , সাকিব ০, ইমরুল ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ৭৪, মাশরাফি ১০, মিরাজ ৫*; আফতাব ৩/৫৪ ,  মুজিব ১/৩৫, গুলাবদিন , নবী ০/৪৪, রশিদ ১/৪৬, শেনওয়ারি ০/৯)।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙল রেকর্ড জুটি

আফতাব আলমের খাটো লেংথের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার খেসারত দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বেশ সময় পেয়েও মাঠ করতে পারেননি। ধরা পড়েছেন রশিদ খানে হাতে। এর আগে ৮১ বলে করেছেন ৭৪ রান। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

আউট হওয়ার আগে  এর আগে ১৯ বছরের রেকর্ড ভেঙেছেন ইমরুলের সঙ্গে। ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি উপহার দিয়ে ১২৮ রান করেছেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। এতো দিন ১৯৯৯ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আল শাহরিয়ার রোকন ও খালেদ মাহমুদ অবিচ্ছিন্ন ১২৩ রানই ছিল ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

মাহমুদউল্লাহর পর ইমরুলের হাফ সেঞ্চুরি

মাহমুদউল্লার সঙ্গে এর মধ্যেই শতরানের জুটি গড়েছেন ইমরুল কায়েস। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে এবার তুলে নিয়েছেন নিজের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো এদিন খেললেন ছয় নাম্বার পজিশনে। তাতেও সাবলীল ছিল তার ব্যাট।

৪৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২১৫/৫। মাহমুদউল্লাহ ৭৪ ও ইমরুল ৫৫ রানে ব্যাট করছেন।

ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে শতরান

৪৩তম রশিদ খানের প্রথম তিন বলে রান নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ বলেই দারুণ এক স্লগ সুইপ। দারুণ এক ছয়েই ইমরুলের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন সাইলেন্ট কিলার।

৪৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৩/৫। মাহমুদউল্লাহ ৬৩ ও ইমরুল ৪৬ রানে ব্যাট করছেন।

মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরি

মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানের রানআউটের পর বাংলাদেশ দল তাকিয়েছিল অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। এখন পর্যন্ত দারুণ ব্যাট করে চলেছেন সাইলেন্ট কিলার। এর মধ্যেই নিজের ২০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৫৯ বলে নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন ১১ মাস পর ফের সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়েস। ৩৯ রান করে উইকেটে আছেন তিনি। এ দুই ব্যাটসম্যানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এসেছে ৯১ রান।

৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৮/৫।

ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর ৫০ রানের জুটি

১১ মাস পর ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলছেন ইমরুল কায়েস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করছেন তিনি। এর মধ্যেই এ জুটিতে এসেছে ৫০ রান। ৬৫ বলে আসে এ জুটির ফিফটি।

৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৯/৫। ইমরুল ২৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৩০ রানে ব্যাট করছেন।

এবার রানআউট মুশফিক

সাকিব আল হাসানের পর আবারো রানআউট। এবার দারুণ ছন্দে থাকা মুশফিকুর রহীম। রশিদ খানের বলে স্কোয়ার লেগে ঠেলেছিলেন ইমরুল কায়েস। রান নিয়ে মাঝ পথের বেশি যাওয়ার পর তাকে ফিরিয়ে দেন ইমরুল। ছন্দে থাকা মুশফিকের বিদায়ে বড় বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে বল ধরে উইকেটে লাগানোর আগেই তার কনুইতে লেগে বেল পরে যায়। কিন্তু তারপরও আউটের সিদ্ধান্তই দেন তৃতীয় আম্পায়ার। এর আগে ব্যক্তিগত ৯ রানে মুজিব উর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন মুশফিক। এরপর বেশ সাবলীল ভাবেই ব্যাট করছিলেন তিনি। কিন্তু আউট হলেন রান আউটে কাটা পড়ে। ৫২ বলে ৩৩ রান করেছেন মুশফিক।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮৫/৫।  ইমরুল কায়েস ৪ রানে উইকেটে আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।

নিজের ভুলে রানআউট হলেন সাকিব

রশিদ খানের বলে ফ্লিক করে মিডউইকেটে ঠেলে রান নিতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অথচ তাতে কোন রান ছিল না। কিন্তু ভুল বুঝতে পারলেও ফিরে আসার সময় আর পাননি। সামিউল্লাহ শেনওয়ারির দারুণ এক থ্রোতে রানআউট হয়েই মাঠ ছাড়েন এ অলরাউন্ডার। ২ বল খেলে কোন রান করতে পারেননি সাকিব।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮১/৪।  মুশফিকুর রহিম ৩১ রানে উইকেটে আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইমরুল কায়েস।

আত্মহত্যা করলেন লিটন

তামিম ইকবালের ইনজুরিতে পড়ার পর ওপেনার হিসেবে লিটন দাসের উপর টাইগারদের প্রত্যাশা ছিল বেশি। আগের ম্যাচগুলোতে ব্যর্থ হলেও এদিন শুরু থেকেই ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন তিনি। রশিদ খানের বলে দারুণ এক চার মারার পরের বলে মারতে গেলেন ছয়। সুইপ করতে ব্যাটের লেগে বল উঠে যায় আকাশে। সে বল সহজেই তালু বন্দি করেন ইহসানুল্লাহ। ৪৩ বলে ৪১ রান করেন লিটন।

লিটন-মুশফিক জুটিতে ৫০ রান

১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল লিটন দাসকে নিয়ে ধরেছেন মুশফিকুর রহীম। এর মধ্যেই এ জুটিতে এসেছে ৫০ রান। ৬৮ বলে আসে ম্যাচে এ জুটির ফিফটি। শুরুটা ধীর গতিতে করলেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ানোতে মনোযোগ দিয়েছেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭২/২। লিটন ৩৫ ও মুশফিক ২৮ রানে ব্যাট করছেন।

ওয়ানডেতে মুশফিকের পাঁচ হাজার রান

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১৭৬ ইনিংস খেলে এ মাইলফলকে পা দেন তিনি। এদিন মাঠে নামার আগে মাইলফলক থেকে ৭ রান দূরে ছিলেন তিনি। গুলবাদিন নাইবকে পুল করে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছেন তিনি।

মুজিবের ঘূর্ণিতে আউট মিঠুন

আগের তিন ম্যাচে পাঁচ নাম্বারে খেললেও এদিন তিন নাম্বারে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মিঠুন। তবে ব্যর্থই হয়েছেন তিনি। ফিরে গেছেন মুজিব উর রহমানের বলে। স্পিন করে ভিতরে ঢুকে বল প্যাডে লাগলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন মিঠুন। ২ বলে ১ রান করেছেন তিনি।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮/২। লিটন দাস ব্যাট করছেন ১০ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ০ রানে উইকেটে আছেন।   

আবারও হতাশ করলেন শান্ত

আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থতার পর আরও একটি সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তকে। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আফতাব আলমের বলে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে গেলে তা তালুবন্দি করতে কোন ভুল করেননি রহমত শাহ। ১৮ বলে ৬ রান করেছেন শান্ত।

৫ ওভারে বাংলাদেশ দলের স্কোর ১৬/১। ৯ রান নিয়ে উইকেটে আছেন লিটন দাস। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

বাংলাদেশ একাদশ:  লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ,   মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি মর্তুজা (অধিনায়ক), নাজমুল ইসলাম অপু, মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ শেহজাদ, ইহসানুল্লাহ, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহীদি, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, আসগর আফগান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, গুলাবদিন নাইব, রশিদ খান, আফতাব আলব, মুজিব-উর রহমান।

স্কোয়াডে ঢুকেই একাদশে ইমরুল, অপুর অভিষেক

সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনই তড়িৎ সিদ্ধান্তে এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হয় সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। দলে ফিরে জায়গা পেলেন একাদশেও। তবে ইমরুল ফিরলেও সুযোগ পাননি সৌম্য। ১১ মাস পর ওয়ানডে একাদশে জায়গা পেলেন ইমরুল। তাকে জায়গা দিতে বসানো হয়েছে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে।

১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর ওয়ানডেতে অভিষেক হলো নাজমুল ইসলাম অপুর। তাকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন পেসার রুবেল হোসেন। গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি। ছিলেন না এশিয়া কাপের প্রথম তিন ম্যাচেও তবে আবু ধাবির মন্থর উইকেটে সুযোগ পেলেন তিনি।

 

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াই। হারলে টুর্নামেন্ট থেকে এক প্রকার বিদায়। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

Comments