কাঁচা লঙ্কা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাধালেন কে?

এরকম পরিস্থিতিতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হয়। একদিকে বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙায় যেমন তাকে সজাগ থাকতে হয়, তেমনি ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে মার না খান, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়।

গত বছরের মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে সে দেশের সরকারের পতনের পরে অনেকেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। কিন্তু আশার সংবাদ হলো, নানা সংকটের পরেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হয়নি। তবে সামান্য এক কাঁচা লঙ্কা নিয়ে দেশে যে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়েছে, সেটি অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

১. কারা এই লঙ্কাকাণ্ড বাধালেন?

২. এটি কি নিছকই এ বছর কাঁচা মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে বলে বাজারে সরবরাহ ঘাটতিজনিত সংকট, নাকি এর পেছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কিংবা কোনো রাজনীতি আছে?

৩. কাঁচা মরিচের দামের সঙ্গে সরকারবিরোধী জনমত প্রবল করার কোনো রাজনীতি আছে কি না?

৪. প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় অতি কম প্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা কেন ও কীভাবে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান ইস্যুতে পরিণত হলো?

৫. এ মুহূর্তে দেশের একমাত্র বা প্রধান সমস্যা কি কাঁচা মরিচ?

৬. ভারত থেকে আমদানির পরেও কেন কাঁচা মরিচের দাম কোনো কোনো স্থানে হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেল?

৭. কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে?

৮. যদি আগামী ১৫ দিন মানুষ সচেতনভাবে কাঁচা মরিচ না কেনে, তাহলে কি দাম কমে যাবে?

৯. চাহিদা শূন্যে নেমে গেলে তখন অনেক বেশি দামে কেনা কাঁচা মরিচ যদি ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক কম দামে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, তখন তাদের সেই লোকসান বা ক্ষতি পোষাবে কে? এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কী হবে?

কাঁচা মরিচের দাম শুধু বাংলাদেশে নয়, বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ রুপিতে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩০ থেকে ৫৩০ টাকা।

এই লেখা যারা পড়ছেন, তাদের অনেকেই স্বীকার করবেন যে, অসংখ্য দিন আপনাদের হেঁশেলে কাঁচা মরিচ শুকিয়ে গেছে। অর্থাৎ বাজার থেকে অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার সময় আধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছিলেন, সেগুলো শেষ হয়নি। একই কারণে অনেকের ফ্রিজে কাঁচা মরিচ দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে নরম হয়ে গেছে।

তার মানে কাঁচা মরিচ এমন একটি কম প্রয়োজনীয় মশলা যেটি একসঙ্গে আধা কেজির বেশি সাধারণত কেনা হয় না। চার জনের সংসারে আধা কেজি কাঁচা মরিচে অনেক দিন চলে যায় এবং শেষ হতে হতে সেগুলো হয় রান্নাঘরে শুকিয়ে যায় কিংবা ফ্রিজেও নষ্ট হয়। অথচ এরকম একটি কম দরকারি জিনিসের দাম নিয়ে এখন সারা দেশ তোলপাড়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটিই এখন দেশের প্রধান সমস্যা। মনে হচ্ছে কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্নাই হয় না বা কাঁচা মরিচের দাম যে হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেল তাতে বোধ হয় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। আসলে কি তা-ই? সামান্য এক মরিচ নিয়ে কেন এই উন্মাদনা?

অর্থনীতির সহজ সূত্র হলো কোনো পণ্যের বিষয়ে যদি পজিটিভ বা নেগেটিভ যেকোনো হাইপ তোলা যায়, তাহলে সেটির চাহিদা বাড়ে। যেমন যে মানুষ স্বাস্থ্যগত কারণে চিনি খান না, তিনিও যখন দেখেন যে বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হলো, তখন তিনিও চিনি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পারলে এরকম মানুষও চিনির দাম আরও বেশি বাড়ার আগে দোকানে গিয়ে পাঁচ কেজি চিনি কিনে নিয়ে আসেন।

স্মরণ করা যেতে পারে, করোনাজনিত লকডাউনের কালে এরকম আতঙ্কের কারণে অনেকে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনার জন্য বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অর্থনীতিতে এটাকে বলে 'প্যানিক বায়িং'। অর্থাৎ আতঙ্কজনিক ক্রয়। আপনার প্রয়োজন নেই কিংবা সামান্য প্রয়োজন কিন্তু তারপরও আতঙ্কে বা হুজুগে পাঁচ কেজি চিনি কিনে বসে আছেন। এভাবে যাদের ক্রয়ক্ষমতা আছে তারা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পণ্য কিনে রাখেন। তখন বাজারে পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং যাদের ক্রয়ক্ষমতা কম তারা তখন ওই অতিরিক্ত দামের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা প্রয়োজনীয় পণ্যটি হয় কিনতে পারেন না বা অনেক বেশি দামে কিনতে বাধ্য হন।

আপনাদের মনে থাকবে, লবণের দাম নিয়েও এরকম আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। অথচ লবণও কাঁচা মরিচের মতো। অর্থাৎ এক কেজির এক প্যাকেট লবণ কিনলে অনেক দিন চলে যায়। কিন্তু যখনই মানুষ শুনলো যে লবণের দাম বেড়ে গেছে বা আরও বাড়তে পারে, তখন তারা বাজারে ছুটলো এবং অহেতুক ৪-৫ কেজি লবণ কিনে বাসায় মজুত করল। যদিও পরে জানা গেল যে লবণ নিয়ে ওই আতঙ্কটি পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়েছিল।

এখন প্রশ্ন হলো কাঁচা মরিচের দাম এবার কেন এত বাড়ল? এটিও কি প্যানিক বায়িং কিংবা এই মশলা নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিমাত্রায় হাইপ তোলার ফল? কোনো কোনো দায়িত্বশীল গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত এমনভাবে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে যে, তারা প্রতি মুহূর্তে ব্রেকিং নিউজের মতো কাঁচা মরিচের আপটেড দিয়েছে। কোনো বড় দুর্ঘটনার পরে যেমন দেখা যায় যে নিহতের সংখ্যা কিছুক্ষণ পরপর বেড়ে যায়, তেমনি কাঁচা মরিচের দামও দেখা গেল এখন চারশো টাকা, তারপর পাঁচশ, তারপর সাতশ, তারপর এক হাজার ইত্যাদি। গণমাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া নাকি সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গণমাধ্যম এই হাইপ তুলল, সেটি গবেষণার বিষয়। কাঁচা মরিচের মতো একটি অতি সাধারণ পণ্য নিয়ে এই ধরনের হাইপ তোলার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, সেটিই বড় প্রশ্ন। অর্থাৎ কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার এই 'উত্তেজনা' কতখানি দায়ী, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

অনেকে রসিকতা করে বলেন, দেশে এখন ক্রেতার চেয়ে সাংবাদিক ও ইউটিউবারের সংখ্যা বেশি। প্রতি মুহূর্তে এসব ইউটিউবারও কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে নানারকম কনটেন্ট ছড়িয়েছেন। এগুলোও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। হাইপ তৈরি করেছে। একটি কম প্রয়োজনীয় জিনিসকে তারা জাতীয় ইস্যু বানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে মূলধারার অনেক গণমাধ্যম যারা এখন ক্লিক বা ভিউ জার্নালিজম শুরু করেছে। নেগেটিভ কনটেন্ট যেহেতু মানুষ বেশি 'খায়', ফলে কোনো একটি ইস্যু পেলেই সেটিকে চুইংগামের মতো টেনে লম্বা করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শুধু যে কাঁচা মরিচের মতো একটি অতি সাধারণ পণ্য সেলিব্রিটিতে পরিণত হলো তা-ই নয়, বরং প্রকৃত সাংবাদিকতাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে এই উত্তেজনা ও উন্মাদনার আরেকটি কারণ হতে পারে রাজনীতি। অর্থাৎ নানা ঘটনায় সরকারের প্রতি মানুষের যেহেতু ক্ষোভ আছে, সেই ক্ষোভ উসকে দিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠী এখন তৎপর। ফলে তারা যখনই কোনো ছোটখাটো ইস্যু পাচ্ছে, সেটিকে কোনো না কোনোভাবে সরকারবিরোধী জনমত বাড়াতে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। অর্থাৎ কাঁচা মরিচের দামও যে হাজার টাকা ছাড়ালো এবং এটি যে সরকারের ব্যর্থতা—এটি প্রমাণ করা গেলে সেখান থেকে কিছু রাজনৈতিক সুবিধা নেয়া যায়।

বাস্তবতা হলো, এ বছর আবহাওয়ার কারণে মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। তাছাড়া বছরের এই সময়টায়, অর্থাৎ বর্ষার মৌসুমে কাঁচা মরিচের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। আবার মাস দুয়েক পরে দাম অনেক কমে আসবে। একটা পর্যায়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ২০ টাকা কেজিতেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হবে। বিক্রেতারা তখন ডেকেও ক্রেতা পাবেন না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, উৎপাদন কম হয়েছে বলে বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো কি কাঁচা মরিচের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে? এবার কেন এমনটি হলো? এর পেছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কোনো দায় আছে? তারা কি ৫০ টাকার পণ্য হাজার টাকায় বিক্রির জন্য এমন কোনো কলকাঠি নাড়লেন, যেই ফাঁদে গণমাধ্যমও পা দিল?

সত্যিই কী কারণে কাঁচা মরিচের মতো একটি অতি কম প্রয়োজনীয় মশলার দাম ১ হাজার টাকা ছাড়ালো, তার ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত সরকারের তরফে আসেনি। বরং এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, 'কাঁচা মরিচ কৃষিজাত পণ্য। তাই এর দাম কেন বেড়েছে তা কৃষি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এটা আমাদের জানার কথা নয়। তবে এতটুকু বলতে পারি, সরকার কাঁচা মরিচ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে।' (কালের কণ্ঠ, ১ জুলাই ২০২৩)।

প্রশ্ন হলো আমদানির প্রভাব কি বাজারে পড়েছে?

গণমাধ্যমের খবর বলছে, অস্বাভাবিক দাম ঠেকাতে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অনুমতি দেওয়ার দিন গত ২৫ জুন বাজারে যে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ২৫০ টাকা কেজি, পয়লা জুলাই শনিবার দেশে তা ৪৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হয়েছে। অথচ এ ফাঁকে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ টাকা কেজি দরের ভারতীয় কাঁচা মরিচও দেশে এসেছে। (প্রথম আলো, ২ জুন ২০২৩)।

প্রথম আলো তাদের অনলাইন সংস্করণে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে যে জনমত জরিপ চালায়, সেখানেও কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে একটি ভোটের আয়োজন করে। প্রশ্ন ছিল, 'কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে মনে করেন কি?' অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এই জনমতে অংশ নেয়া ৯৩ শতাংশ মানুষ উত্তর দিয়েছেন 'না'। অর্থাৎ তারা মনে করেন কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। প্রশ্ন হলো মানুষের মনে এই অনাস্থা কেন? সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটদাতা কেন মনে করছেন যে, সরকার কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে না?

এ মুহূর্তে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদক্ষেপ আর কী হতে পারে? চাহিদা কমানো? শুরুতেই বলা হয়েছে যে, কাঁচা মরিচ প্রতিদিনের রান্নায় কোনো অত্যাবশকীয় পণ্য নয়। অর্থাৎ অসংখ্য মানুষ কাঁচা মরিচ ছাড়াই রান্না করেন। আবার যারা কাঁচা মরিচ খান তারাও যে একসঙ্গে এক কেজি মরিচ খান তাও নয়। বরং রান্নায় কাঁচা মরিচ লাগে খুবই সামান্য। সেই সামান্য চাহিদাটুকুও যদি বাদ দেয়া যায়, অর্থাৎ মানুষ যদি আগামী ১৫ দিন বা এক মাস কাঁচা মরিচ না কেনে, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই পঁচনশীল মশলার দাম কমে যাবে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খুচরা বিক্রেতারা। কেননা আড়ৎদার ও পাইকাররা যথেষ্ট বেশি দামে খুচরা দোকানিদের কাছে বিক্রি করে পকেটে টাকা ঢুকিয়েছেন। ফলে বিপদে পড়বেন সেইসব খুচরা বিক্রেতা যারা অনেক বেশি দামে কিনেছেন। তারা যদি বিক্রি করতে না পারেন তাহলে তাদের মরিচগুলো পঁচে যাবে। তখন তারা হয়তো অনেক টাকা লোকসানে মরিচ বিক্রি করে দেবেন। এরকম পরিস্থিতিতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হয়। একদিকে বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙায় যেমন তাকে সজাগ থাকতে হয়, তেমনি ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে মার না খান, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়।

আমীন আল রশীদ: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments