শতবছর পূর্বে মিলাদুন্নবী উদযাপনের চিত্র

মিলাদুন্নাবি

বাংলার মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে যেসব দিবস পালিত হয় তন্মধ্যে অন্যতম ঈদে মিলাদুন্নবী। এখন শুধু ঈদে মিলাদুন্নবী নামে প্রচলিত হলেও শতবছর পূর্বে 'নবী দিবস', 'ফাতেহা দোয়াজ দাহম' নামেও প্রচলিত ছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন উপলক্ষে রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখ মুসলমানরা মহানবীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে স্মরণোৎসবের আয়োজন করে থাকে। ঐতিহাসিক জায়গা থেকেও এই দিবসটির তাৎপর্য আছে। মুর্শিদাবাদের নবাব থেকে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ খান— সকলেই কমবেশি মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছেন।

ঐতিহাসিক কে.পি. সেন 'বাংলার ইতিহাস নবাবী আমল' গ্রন্থে লিখেছেন: 'নবাব এই দিনটি একটি বিরাট উৎসব আনন্দের দিনে পরিণত করতেন। তিনি রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম বারো দিন লোকদেরকে আদর অভ্যর্থনা করতেন এবং ব্যক্তিগতভাবে আতিথেয়তায় উপস্থিত হতেন। বিশেষ করে তিনি গরিবদেরকে অভ্যর্থনা করতে ভালোবাসতেন। এই উপলক্ষে সমস্ত মুর্শিদাবাদ শহর ভাগিরথী নদীর তীর পর্যন্ত আলোকমালায় সজ্জিত করে রাখতেন। বারো দিনব্যাপী এই উৎসব ও আলোকসজ্জা অব্যাহত থাকত। সেনাপতি নাজির আহমদের অধীনে এক লক্ষ লোক আলোকসজ্জার কাজে নিয়োজিত হতো। কামান গর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সড়ক ও নদী তীরের সমস্ত আলোক জ্বলে উঠত এবং সারা শহর ও ভাগিরথী এক আনন্দময় রূপ ধারণ করত।' এই থেকে স্পষ্ট, কতটা আলিশান কায়দায় নবাবরা মিলাদুন্নবী উদযাপন করতেন।

এই বিষয়ে ঢাকার নবাবরাও পিছিয়ে ছিলেন না। নবাব সলিমুল্লাহ প্রতিটি পঞ্চায়েতকে মিলাদুন্নবী উদযাপনে আর্থিক সহায়তা করতেন। নির্দেশনা দেয়া হতো, মহল্লা সাজাতে হবে এবং মিলাদ পড়াতে হবে। ভাটিয়ালি গানের মতো সুর করে একটি বিশেষ মিলাদের আয়োজন হতো, যার নাম ছিল 'ভাটিয়ালী মৌলুদ'। নবাব সলিমুল্লাহ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এই বিশেষ মিলাদের এন্তেজাম করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ সিদ্দিক খান (১৯৬৬) লিখেছেন: 'ফাতেহা-ই-দোয়াজদহম উপলক্ষে চক মসজিদের আশেপাশে চারদিক আলোকমালায় সাজানো হতো। মসজিদে পড়ানো হতো মিলাদ শরীফ। এই মিলাদ‌ও পড়া হতো সমবেত কণ্ঠে। এর নাম ছিল ভাটিয়ালী মৌলুদ। মিলাদের পরে বিরাট খানা-পিনার আয়োজন হতো। খাজা সলিমুল্লাহ মিলাদ এবং ভোজানুষ্ঠান উভয়েরই সমগ্র ব্যয়ভার বহন করতেন।'

কেবল ইতিহাসের কিতাবেই নয়, বহু বিখ্যাত সাহিত্যিকের স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে শতবছর পূর্বে মিলাদুন্নবী উদযাপনের বর্ণাঢ্য রূপ। চল্লিশের দশকের ঔপন্যাসিক আবু রুশদ লিখেছেন: 'একবার স্কুলের মিলাদে ডাকা হয়েছিল তখনকার শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর (পরে সার) আজিজুল হক সাহেবকে। তিনি যে স্কুলের মিলাদে আসতে রাজী হলেন তার পেছনে হেডমাষ্টারের (বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য) সৌজন্য ও ব্যক্তিত্ব কাজ করেছিলো। মিলাদের আয়োজনেও বিন্দুমাত্র ক্রুটি হয়নি, অনেক হিন্দু ছাত্র‌ ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন তারা অবশ্য আলাদা বসেছিলেন এবং মিলাদ শেষে মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেননি। তবে মনে আছে আজিজুল হক সাহেবকে তিনি স্বাগত জানিয়ে হজরত মোহাম্মদ (দ.) সম্বন্ধে ছোট কিন্তু সুন্দর এক বক্তৃতা করেছিলেন। আজিজুল হক সাহেব‌ও কম জাননি হেড মাষ্টার সাহেবের মতো তিনিও বক্তৃতা করেছিলেন ইংরেজিতে।' এই বিবরণে দেখা যাচ্ছে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক দারুণ নিদর্শন। মুসলিম ছাত্রদের কেন্দ্র করে মিলাদুন্নবীর আয়োজন কিন্তু হেড মাস্টার বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য একজন হিন্দু হয়েও আয়োজনে বিন্দুমাত্র ক্রুটি রাখেননি, চেষ্টা করেছেন যথাসাধ্য। কেবল আয়োজনেই শেষ নয়, 'অনেক হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন'। মিলাদুন্নবী উদযাপনের মধ্য দিয়ে এভাবেই কলকাতার মতো উত্তপ্ত রাজনৈতিক শহরেও বজায় ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।

তবে শুধু স্কুল-কলেজেই নয়, কলকাতার মুসলিম এলাকাগুলোতেও আয়োজন হতো মিলাদুন্নবীর। সাক্ষ্য দিয়েছেন সাহিত্যিক শ‌ওকত ওসমান: 'কলিন লেনে নতুন অভিজ্ঞতা হলো আরো বিস্তারিত। মিলাদের মধ্যে এখানে বক্তৃতা দিলেন একজন। সব‌ই হযরতের জীবনকেন্দ্রে।... বক্তৃতা বেশ মনোগ্রাহী। তবে শ্রোতা কম। পাড়ার দুইচারজন এবং বাড়িওয়ালার ভাড়াটেগণ। আর যা-ই হোক, হযরতের জন্মদিবস উপলক্ষে আর এক মাত্রা যোজনা দেখলাম। শুধু মিলাদ নয়, তার সঙ্গে বক্তৃতাও হতে পারে। অবশ্যি মিলাদ অন্যান্য মিলাদের ধারা-বিচ্যুত নয়। মাঝখানে বক্তৃতা এবং শেষে যথারীতি নবীর সম্মানে দাঁড়িয়ে দরুদ-পাঠ ইয়া নবী সালামো আলায়কা দিয়ে সমাপ্তি টানা। কলিকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসলমান ছেলেরা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে আসত ইলেম-অর্জনে। নারিকেল ডাঙ্গা, তিলজলা, তালতলা, কলুটোলা প্রভৃতি আগত ছাত্রদের মুখেও রিপোর্ট পাওয়া গেল মিলাদুন্নবীর।'

কেবল পশ্চিম বঙ্গেই নয়, স্মৃতিকথায় মিলে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পালিত মিলাদুন্নবীর আয়োজনের কথাও। সৈয়দ মুর্তাজা আলী (১৯২০) স্মৃতিচারণে লিখেছেন: "আমরা যখন সিলেট গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে পড়তাম তখন স্কুলে খুব আড়ম্বরের সংগে মিলাদ উৎসব হত। এই উপলক্ষে আমরা স্কুল বাড়িটাকে সুন্দররূপে সাজাতাম। সভা করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পয়গম্বরের ভাবধারা ও জীবনী সম্বন্ধে আলোচনা করতাম।" স্কুলে মিলাদুন্নবী উদযাপনের এই চিত্র পাওয়া যায় কামরুদ্দীন আহমদের স্মৃতিতেও: "আমাদের স্কুলে ফাতেহায়ে দোয়াজদাহুমে মিলাদ হতো—তবে মুসলমান ছাত্রের সংখ্যা এত কম ছিল যে, মৌলবী সাহেবের সকল তালবে আলেম আমন্ত্রণ করে এনেও একটা ঘর ভর্তি করা যেত না। মিলাদ পড়াবার জন্য আমরা খাজা নাজিমুদ্দীনের ছোট ভাই খাজা শাহাবুদ্দীনকেই ডাকতাম। তিনি তখন রাজনীতি করতেন না। তিনি ছিলেন মৌলভী সাহেব। তার গলার স্বর সুমিষ্ট ছিল।" কামরুদ্দীন আহমদ পড়তেন ঢাকার এক স্কুলে, সময়টা ১৯২২। উদ্ধৃত দুটি স্মৃতিচারণ‌ই সময়ের দিক থেকে শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।

সারাদেশেই বিভিন্ন স্কুলে মুসলিম ছাত্রদের উদ্যোগে মিলাদুন্নবী উদযাপনের আয়োজন হতো। এর সপক্ষে দলিল পাওয়া যায় বেশ কিছু স্মৃতিকথায়। সানাউল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এক স্কুলে পড়তেন, সেখানকার সাক্ষ্য দিচ্ছেন তিনি: 'আমার গদ্যলেখার প্রথম প্রকাশ্য পরিচয় ঘটে হযরত মোহাম্মদকে নিয়ে লিখিত আমার একটি রচনায়। ফাতেহা দোয়াজ দাহম উপলক্ষে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রচনাটি আমি পাঠ করি।'

কুষ্টিয়ার এক স্কুলের সাক্ষ্য দিয়েছেন সা'দ আহমদ: "১৯৪২ সালের কোন এক সময় কুষ্টিয়া মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগ-এর সভাপতি ও সম্পাদক ভেড়ামারা হাইস্কুলে এসে মুসলিম ছাত্রলীগ-এর সংগঠন গড়েন এবং স্থানীয় সভাপতির দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ হয়। হাইস্কুলে পূর্বের চাইতে মুসলিম ছাত্রসংখ্যা বেশ কিছু বৃদ্ধি পেল। ভেড়ামারা বাজারে মুসলিম বসতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মুসলিম সরকারি কর্মচারী বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের সন্তানদের নিয়ে মুসলিম ছাত্রলীগ-এর দল ভারী হতে লাগল। বড়দের সাহায্য নিয়ে কলকাতা থেকে কবি, সাহিত্যিক ও গায়ক এনে আমরাও একমাত্র হাইস্কুলের ময়দানে জমকালোভাবে নবী (সা.) দিবস উদযাপন করতে শুরু করে দিলাম।" স্কুলের এমন স্মৃতিচারণ পাওয়া যায় আরও। মোটামুটি সারাদেশের চিত্র‌ই ছিল এরকম। মিলাদুন্নবী উদযাপন ছিল মুসলিম ছাত্রদের জন্য স্কুলের বার্ষিক উৎসবের মতো। যা আমরা উদ্ধৃতি থেকেই বুঝতে পারছি।

কেবল স্কুলেই সীমাবদ্ধ ছিল না শতবছর পূর্বে মিলাদুন্নবীর উদযাপন। অনেক ধর্ণাঢ্য মুসলিম ব্যক্তিরা আয়োজন করতেন ভোজের। ধনী-গরিব সকলের মিশেলে একটি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি করা হতো। বেগম সুফিয়া কামালের জবানে শুনি এরকম একটি বিবরণি: "আমাদের নবী করিমের জন্মদিন বারে ওফাতে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী বড়‌ই সমারোহের সাথে সম্পন্ন হতো; আলোকে জেয়াফতে ধনী-দরিদ্র্য বারো দিন ধরে মিলাদ-মাহফিলে সমবেত হতো। বারো দিনের জেয়াফত খাওয়ানো হতো সকলকে একসাথে করে। ধার্মিক ও বিদ্বান ব্যক্তিদেরকে উপহার প্রদান এবং রোজা রাখা ও মুসলমানদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য‌ও মহানবীর জন্মোৎসব একটা বিশেষ উপলক্ষ ছিল।' গরীব পরিবারের টানা বারোদিন একটু ভালো খাবার দাবারের সুযোগ সে-কালেই কেন শুধু, এ-কালেও কম কথা নয়। মিলাদুন্নবী এভাবেই গরীবদের মুখে হাসি ফুটিয়ে উদযাপিত হয়ে এসেছে।

মিলাদুন্নবী উদযাপনের এক নয়া তরিকা উদ্ভাবন করেছিলেন ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। তিনি প্রবর্তন করেছিলেন মিছিলের। মিলাদুন্নবীর দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বের হতো মিছিল, শহরের কিছু জায়গা প্রদক্ষিণ করে আবার ফিরে আসতেন ঢাবিতে। এ সম্পর্কে তার কন্যা মাহ্‌যূযা হক লিখেছেন: "১৯২৮ সালে প্যারিস থেকে ফেরার পর তিনি নবীজী (সঃ)-র জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেন। তার জন্যে ছাত্র সহকারে স্কুলে গিয়ে কলেজের শিক্ষক ছাত্রদের নবীজী (সঃ)-র জন্মদিন পালনে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে জমায়েত হয়ে মিছিল আকারে শহরের সর্বত্র ঘুরে আসেন। এই মিছিল সফলকাম হয়েছিল। পূর্বে কখন বিশ্বনবী (সঃ)-র জন্মদিন এভাবে পালিত হয়নি।" স্মৃতিকথা থেকে স্পষ্ট যে, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ নিজেই কেবল মিলাদুন্নবী পালন করেননি, বরং স্কুল, কলেজে গিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে মিলাদুন্নবী উদযাপনের তাগিদ দিয়েছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, মিলাদুন্নবীর প্রতি তার দরদ কতটা আন্তরিক ছিল।

ঐতিহাসিক বিবরণ ও গুণীজনদের স্মৃতিকথা থেকে শতবছর পূর্বে মিলাদুন্নবী উদযাপনের বেশ কিছু চিত্র উঠে এসেছে। যেমন:

১. মসজিদ সাজানো।

২. মিলাদের আয়োজন করা।

৩. স্কুল-কলেজে মুসলিম ছাত্রদের বাৎসরিক উৎসব হিসেবে উদযাপন করা।

৪. ধনী-গরীব সকলের অংশগ্রহণে জেয়াফত/খানা-পিনার আয়োজন করা।

৫. জুলুস অর্থাৎ মিছিল বের করা।

ব্রিটিশ আমলে মুসলিম সমাজ যখন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে কোণঠাসা তখন মিলাদুন্নবী উদযাপনের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের সাংস্কৃতিক চর্চা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। শতবছর পূর্বে মিলাদুন্নবী উদযাপনের যে রূপ আমরা ইতিহাস ও স্মৃতিকথায় দেখেছি তার সাথে বর্তমান উদযাপনের রূপে কোনো পার্থক্য নেই। আলোকসজ্জা, মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন, স্কুল-কলেজে আনুষ্ঠানিক উদযাপন, জেয়াফত/খাবারের আয়োজন, জুলুস অর্থাৎ মিছিল বের করা সব‌ই শতবছর পূর্বে যেমন ছিল তেমনি আছে। তবে পরিমাণে, আকারে বেড়েছে। মুসলিম সমাজ এখন অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে মিলাদুন্নবী উদযাপন করছে। রাষ্ট্র‌ও গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে এই উদযাপন। ফলে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১ দিন সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। মুসলিম সমাজ শতবছর আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা বেড়েছে। ফলে, এই উৎসব-আয়োজনও সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের মুসলমানদের অন্যতম উৎসবে।

ব্যবহৃত বই

১. বাংলার ইতিহাস : কে. পি. সেন, কলিকাতা, ১৩০৮ বঙ্গাব্দ

২. মুহম্মদ সিদ্দিক খান রচনাবলী প্রথম খণ্ড : বাংলা একাডেমি, ১৯৯৪

৩. আমাদের কালের কথা : সৈয়দ মুর্তাজা আলী, চট্টগ্রাম, ১৩৭৫ বঙ্গাব্দ

৪. বাংলার মধ্যবিত্তের আত্মবিকাশ : কামরুদ্দীন আহমদ, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ২০১১

৫. রাহনামা ২য় খণ্ড : শ‌ওকত ওসমান, সময় প্রকাশনী, ২০০৭

৬. জীবন ক্রমশ ঠিকানা পশ্চিম এখন বর্তমান : আবু রুশদ, অ্যাডর্ন পাবশিকেশন, ১৯৯৮

৭. সানাউল হক রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড : বাংলা একাডেমি, ২০০২

৮. আমার দেখা সমাজ ও রাজনীতির তিনকাল : সা'দ আহমদ, রিজিয়া সা'দ ইসলামিক সেন্টার প্রকাশনী, ২০০২

৯. একালে আমাদের কাল : সুফিয়া কামাল, সুফিয়া কামাল রচনা সংগ্রহ, বাংলা একাডেমি

১০. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবন : মাহ্‌যূযা হক, ধানমন্ডি, ঢাকা, ১৯৯১

Comments