সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে অন্তত ১৭ সাংবাদিক আহত

সংঘর্ষের সময় আহত সাংবাদিক রাফসান জানি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি: স্টার

রাজধানীতে শনিবার বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত ১৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তাদের মধ্যে আছে দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাফসান জানি। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় তিনি আহত হন।

বিএনপি কর্মীরা রাফসান জানির ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে রড দিয়ে পেটায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কালবেলার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তৌহিদুল ইসলাম তারেকও নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলার শিকার হন।

একই পত্রিকার সাংবাদিক আবু সালেহ মুসাকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কালবেলার আরেক প্রতিবেদক রবিউল ইসলাম রুবেল ইট-পাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন।

কাকরাইলে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন সাংবাদিক তানভীর আহমেদ ও শেখ নাসিরের ওপর হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা।

তারা দুজন সেসময় ভিডিও করছিলেন। ইত্তেফাকের সাংবাদিক জানার পর বিএনপি কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তারা।

এদিকে বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিলের ছবি তোলার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হন দৈনিক ইনকিলাবের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার এস এ মাসুম।

মাসুমের সহকর্মীরা জানান, ওই মিছিলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হামলা চালায়। কিন্তু মাসুমের সঙ্গে প্রেসকার্ড থাকলেও পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা মাসুমকে মারধর করে।

তাকে উদ্ধার করে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হামলার শিকার হয়েছেন একুশে টিভির দুই সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও আরিফুর রহমান। তাদের বহনকারী গাড়ি থামিয়ে নামতে বাধ্য করা হয়। তাদের ক্যামেরা ফেলে দেওয়া হয় এবং গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় দৈনিক কালের কণ্ঠের দুই ফটোসাংবাদিক বিভাগীয় ইনচার্জ শেখ হাসান আলী ও স্টাফ ফটোগ্রাফার লুৎফর মারধরের শিকার হন।

দ্য ডেইলি নিউ এজের সাংবাদিক আহমেদ ফয়েজ মাথায় রাবার বুলেটের আঘাত পান।

দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

এদিকে নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপি কর্মীদের হামলার শিকার হন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস।

ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, আলোকচিত্রী সাজ্জাদ হোসেন ও রিপোর্টার জোবায়ের আহমেদসহ তিন সাংবাদিক। 

সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর এভাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।

Comments

The Daily Star  | English

Wait for justice: 21 years and counting

The final judgment in the cases is now pending with the Appellate Division as trial proceedings have been completed at the lower court and HC Division

11h ago