হাথুরুসিংহের একাধিক সহকারি খুঁজছে বিসিবি

প্রধান কোচ নিয়োগ দিয়েই চিন্তামুক্ত হতে পারছে বিসিবি। বোর্ড প্রধান জানান, ঠাসা সূচির কথা চিন্তা করে একাধিক সহকারি কোচ নিয়োগ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তারা
Nazmul Hasan papon and Chandika Hathurusinghe

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচ হয়ে আবার আসছেন, কদিন ধরেই এই নিয়ে চলছিল গুঞ্জন। মঙ্গলবার সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেছে বিসিবি। পরে গণমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, প্রধান কোচ নিয়োগের পর এখন তারা একাধিক সহকারি কোচ খুঁজছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আগামী দুই বছরের জন্য হাথুরুসিংহেকে আবার প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তারা।

গুলশানে নিজের বাসার সামনে পরে গণমাধ্যমে হাজির হন বোর্ড প্রধান। তিনি জানান, সব কিছু চূড়ান্ত হলেও হাথুরুসিংহের নিয়োগের বিষয়টা কদিন পর জানাতে চাইছিলেন তারা। তবে দ্বিধা বাড়ার শঙ্কায় সেই পথে আর হাঁটেননি,  'আমাদের পরিকল্পনা ছিল ও (হাথুরুসিংহে) ২০ তারিখে আসবে,  আসার কিছুদিন আগে বলব। যেহেতু আমি কাল চলে যাচ্ছি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। কাজেই কে আবার কি বলে না বলে, কোন ঠিক নাই। সেজন্য দ্বিধা দূর করে ফেলাই ভাল।'

তবে প্রধান কোচ নিয়োগ দিয়েই চিন্তামুক্ত হতে পারছে বিসিবি। বোর্ড প্রধান জানান, ঠাসা সূচির কথা চিন্তা করে একাধিক সহকারি কোচ নিয়োগ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তারা, আলাপ চলছে বেশ কজনের সঙ্গে, 'আমরা খুঁজছি সহকারি কোচ। কারো পক্ষেই সবগুলো সিরিজ দেশে ও দেশের বাইরে। তারপরে ডেভোলাপমেন্ট প্রোগ্রামে থাকা সম্ভব হবে না। কেউ এক সিরিজে না থাকলে অন্য একজন গেল। সহকারি কোচ যদি পাই… এখনো পর্যন্ত কেউ রাজি হয়নি। অনেকের সঙ্গে কথা বলছি তাই নাম বলতে চাই না। ২৪ তারিখের মধ্যে জেনে যাবেন।'

সহকারি পদে সম্ভব হলে একাধিক কোচ নিয়োগ দিতে চায় বোর্ড। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অন্তত পাঁচজন,   'দুজন না, আসলে আরও বেশি। উপমহাদেশের দুজন, আর তিনজনইও বাইরের।'

২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাথুরুসিংহে। এই সময়ে দল পেয়েছে বেশ কিছু বড় সাফল্য। আবার তার বিদায়টাও হয়নি সুখকর। হাথুরুসিংহেকে নিয়োগ দেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন নাজমুল। তার মতে কতগুলো বিষয় মিলে যাওয়ায় পুরনো কোচের কাছে ফেরত গেছেন তারা,  'অনেক কারণে নিয়েছি। আগের অভিজ্ঞতা একটা কারণ। আরেকটা হচ্ছে হাই লেভেল বা মিড লেভেলের কাউকে চাইলেও দেখা যায় হয় তারাও একটানা থাকবে না। ওরা দিনের হিসাব করে, ১০০ দিন, ২০০ দিন। ২০০ দিনের বেশি করবেই না। এছাড়া বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কাজ করে। ওই সময় ছুটি দিতে হবে। কিন্তু ওই সময় ছুটি দিলাম তখন জাতীয় দলের খেলা থাকলে কি হবে? এসব কিছুতে হাথুরুসিংহের কোন সমস্যা নেই। ও যেটা ধরে সেটাতেই থাকে। এটা একটা বিরাট সুবিধা।'

Comments

The Daily Star  | English

Chhatra League banned

The interim government last night banned Bangladesh Chhatra League, caving in to demands from the student movement against discrimination.

51m ago