হাথুরুসিংহেকে ফেরাতে বারবার ধর্ণা দিয়েছিল বিসিবি

বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর এবারই কি প্রথম চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি? উত্তর, ‘না’। এটা কি দ্বিতীয়বার ছিল? তাও উত্তর, ‘না’। হাথুরুসিংহের এই দুই ‘না’ বলায় পরিষ্কার হয়ে যায় অন্তত দুইবারের বেশি ফেরার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
Chandika Hathurusingha
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর এবারই কি প্রথম চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি? উত্তর, 'না'। এটা কি দ্বিতীয়বার ছিল? তাও উত্তর, 'না'। হাথুরুসিংহের এই দুই 'না' বলায় পরিষ্কার হয়ে যায় অন্তত দুইবারের বেশি ফেরার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি, নিজেও ফিরতেও চেয়েছিলেন। তবে সেটা এত দ্রুত হয়ে যাবে ভাবেননি।

দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসার পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা যাচ্ছে হাথুরুসিংহেকে। গণমাধ্যমের সামনে পড়লেই নিজ থেকে হাত নেড়ে সাড়া দিচ্ছেন, কুশলাদি জিজ্ঞেস করছেন।

সোমবার রাতে ঢাকায় নেমে মঙ্গলবারই মাঠে এসে দেখা করে গেছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। খোশগল্পে সময় পার করতে দেখা গেছে তাকে।  চেনা আঙিনা ঘুরে বুঝে নিতে চেয়েছেন আবহ। বুধবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তাকে পাওয়া গেল কিছুটা নরম সুরে। চেহারায় গাম্ভীর্য টেনে কঠিন সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে চেনা সাংবাদিকদের খোঁজ খবর নিয়েছেন নিজ থেকে।

জানালেন ২০১৭ সালে বিসিবির চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এখানকার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার,  'ফিরে যাওয়ার পর থেকেই আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসরণ করছিলাম। সময় সময়ে অনেক খেলোয়াড়, কর্মকর্তা আমার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়, পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ রাখছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আমার বরাবরই সফট কর্নার ছিল। কারণ এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। ভেতরে ভেতরে আমি ফিরতে চেয়েছি। আমি ভাবিনি এটা এত দ্রুত হয়ে যাবে।'

অস্ট্রেলিয়ায় গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ই হাথুরুসিংহের ফেরার বিষয় চূড়ান্ত হয়ে যায়। বিশ্বকাপ সামনে থাকায় তিনিও আর মৌসুম শেষ করার অপেক্ষা করেননি,

'গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় আমি বিসিবি সভাপতি ও কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করি। কিছু বিষয় আলাপ করি। আমার মনে হয় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আগে এটা ফেরার আদর্শ সময়। এর থেকে পরে নিউ সাউথ ওয়েলসের মৌসুম শেষে এলে দেরি হয়ে যেত। বিগ ব্যাশের পর আমি সিদ্ধান্ত নেই চলে আসার।'

তবে অক্টোবর-নভেম্বরেই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার তাকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বারবার তার কাছে গেছে বিসিবির প্রস্তাব। এতে বোঝা যায় এই কোচের প্রতি বিসিবির তীব্রতা।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু সাফল্য আনেন তিনি। বিশেষ করে দলের খেলার ধরণ, শরীরী ভাষায় তিনি নিয়ে আসেন বদল। তার সময়েই ওয়ানডে ক্রিকেটে বড় দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ জেতা শুরু করে বাংলাদেশ।

তবে শেষ দিকটা কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি আসে আলোচনায়। চুক্তির মাঝপথে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান অনেকটা রূঢ়ভাবে।

Comments