সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে টানাপোড়েনের প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বললেন, ‘প্রশ্নটিই রাবিশ’ 

হাথুরুসিংহের কোচিং স্কিল নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি, কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা ছিল চড়া। ২০১৭ সালে মাশরাফি মর্তুজাকে টি-টোয়েন্টি ছাড়তে চাপ দিয়েছিলেন তিনি, সেই চাপেই অবসর নেন মাশরাফি। টেস্ট থেকে বাদ দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে। মুমিনুল হককেও বাদ দিয়ে পড়েছিলেন বিতর্কে। 
Tamim Iqbal and Chandika Hathurusingha

আগেরবার দায়িত্বে থাকাকালীন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের তেতো সম্পর্কের খবর বেরিয়েছিল। এমনকি তিনি চলে যাওয়ার পর বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও এমন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে এবার দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে বিষয়টি একদম অস্বীকার করলেন তিনি। বরং এই সম্পর্কিত প্রশ্নকে আখ্যা দিলেন 'রাবিশ' হিসেবে। 

হাথুরুসিংহের কোচিং স্কিল নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি, কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্ক ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা ছিল চড়া। ২০১৭ সালে মাশরাফি মর্তুজাকে টি-টোয়েন্টি ছাড়তে চাপ দিয়েছিলেন তিনি, সেই চাপেই অবসর নেন মাশরাফি। টেস্ট থেকে বাদ দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে। মুমিনুল হককেও বাদ দিয়ে পড়েছিলেন বিতর্কে। 

বুধবার সংবাদ সম্মলনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা রাগত স্বরে জবাব দেন হাথুরুসিংহে,  'আপনার প্রথম প্রশ্নটি রাবিশ, কোন ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার টানাপোড়েন নেই।'

এবার বাংলাদেশে আসার আগে ও পরে চার সিনিয়র সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে কথা বলেছেন তিনি,  'মোটেও না (সিনিয়রদের সামলানো চ্যালেঞ্জ)। সিনিয়রদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সবার মনযোগের কেন্দ্রে দল। দলের ভালোর জন্য সবাই চেষ্টা করবে।' 

'এমনকি আগেরবারও কোন ক্রিকেটারকে নিয়ে আমার সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলের ভালোর দিকে সবার মনোযোগ নিতে চাই। এটাই হলো চ্যালেঞ্জ, আর কিছু না।'

নতুন দফায় দায়িত্ব নিয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভূমিকাতেও কোন বদল আনার ইচ্ছে নেই তার, 'গত ১২-১৫ বছর ধরে তারা যেমন ভূমিকা পালন করেছে, সেটাই করবে। তারা যতদিন খেলবে এবং নির্বাচিত হবে একই ভূমিকাই পালন করবে। তাদের ভূমিকা খুব একটা বদলাবে না। তারা বিশ্বমানের ও নিজেদের জায়গায় সফল।'

Comments