আইপিএল ২০২৩

রোহিতদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন কোহলি-দু প্লেসি

রোববার রাতে বেঙ্গালুরুর মাঠে আইপিএলে ছিল রোহিত-কোহলির লড়াই। তাতে হাসি কোহলির। রোহিতের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
Faf du Plessis & Virat Kohli
দু প্লেসি-কোহলির জুটিতেই কাবু মুম্বাই। ছবি: আইপিএল

আইপিএলে নিজের বাজে ছন্দের চক্র থেকে বের হতে পারলেন না রোহিত শর্মা। নতুন মৌসুমে নতুন রূপেও উজ্জ্বল দেখালো না তার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। দলের বিপর্যয়ে তিলক বর্মার আগ্রাসী ফিফটিতে পাওয়া মুম্বাইর পুঁজি মামুলি বানিয়ে ছাড়লেন ফাফ দু প্লেসি আর বিরাট কোহলি।

রোববার রাতে বেঙ্গালুরুর মাঠে আইপিএলে ছিল রোহিত-কোহলির লড়াই। তাতে হাসি কোহলির। রোহিতের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

আগে ব্যাটিং পেয়ে তিলকের ৪৬ বলে ৮৪ রানের ঝড়ে ভর করে ১৭১ তুলে মুম্বাই। কোহলি-দু প্লেসির ১৪৮ রানের জুটিতে ওই রান ২১ বল আগে পেরিয়ে যায় বেঙ্গালুরু।

 ৪৯ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ  ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। অধিনায়ক দু প্লেসি ৪৩ বলে করে যান ৭৩ রান।

ব্যাট করার জন্য উইকেট বেশ ভালো হলেও ১৭২ খুব সহজ ছিল না। কিন্তু মুম্বাইর বিবর্ণ বোলিং আক্রমণকে দুমড়ে তরতরিয়ে রান বাড়াতে থাকেন দু প্লেসি-কোহলি।

মুম্বাইর তুরুপের তাস জোফরা আর্চারকে থিতু হতে দেননি মাস্টার ব্যাটার কোহলি। পেছনের পায়ে ভর করে সোজা দেখার মতো ছক্কায় উড়িয়েছেন তাকে। জেসন বেহেনড্রফ, ক্যামেরন গ্রিনরাও ছিলেন অসহায়। দু প্লেসি দেখান তার বুড়ো হাতের ভেল্কি।

এই দুজনকে থামানোর কোন উপায় পাননি রোহিত। ম্যাচে বেশিরভাগ সময় হতাশায় মুখ লুকাতে থাকেন তিনি। ৪৩ বলের উপস্থিতিতে ৬ ছক্কা, ৫ চারে ৭৩ করে আরশাদ খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দু প্লেসি। তিনে নেমে কেবল ৩ বল টিকে গ্রিনের শিকার হন দীনেশ কার্তিক।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৩ বলে ১২) নিয়ে বাকি কাজ অনায়াসে সারেন কোহলি। আরশাদ খানের বলা ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি।

টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে মোহাম্মদ সিরাজ, রিস টপলি, আকাশ দিপদের তোপে পড়ে মুম্বাই। কিপার ব্যাটার ঈশান কিশানকে তুলে নেন সিরাজ। ধুঁকতে থাকা রোহিত ১০ বলে মাত্র ১ রান করে কিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে শিকার হন আকাশের।

সূর্যকুমার যাদবও দেখাতে পারেননি চেনা ছন্দ। ১৬ বলে ১৫ করে তিনি শিকার মিচেল ব্রেসওয়েলের। ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় চারবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।

এরপরে ম্যাচ বদলে দিত থাকেন তিলক। নেহাল ওয়াদেরাকে নিয়ে ৩০ বলে ৫০ রানের জুটিতে প্রথম প্রতিরোধ তার। টিম ডেভিড হৃতিক সোকেনরা সঙ্গ দিতে না পারলেও ৮ম উইকেটে আরশাদ খানকে নিয়ে ১৮ বলে ৪৮ যোগ করেন তিনি। তার অমন ঝড়ের পরও রানটা যে পর্যাপ্ত ছিল না তা বুঝিয়েছেন কোহলি-দু প্লেসি।

Comments