আইপিএল

ঝড় তুলেও শেষ বলের হিসাব মেলাতে পারলেন না ধোনি

ঘরের মাঠ চিপকে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৩ রানে হেরেছে ধোনির চেন্নাই। স্পিনারদের  রসদে ভরা উইকেটে জস বাটলারের ফিফটিতে ১৭৫ রান করে রাজস্থান। ডেভন কনওয়ের ফিফটির পর সাতে নামা জাদেজা আর আটে নামা ধোনির ঝড়ের পরও ১৭২ রানে থেমেছে চেন্নাই।
MS Dhoni
ছবি: আইপিএল

শেষ দুই ওভারে ৪০ রান দরকার ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ভীষণ কঠিন কাজটা প্রায় করেই ফেলেছিলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। তিন ছক্কায় ঝড়ো ইনিংস খেললেও শেষ বলে গিয়ে আর তিনি মেলাতে পারেননি সমীকরণ।

ঘরের মাঠ চিপকে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৩ রানে হেরেছে ধোনির চেন্নাই। স্পিনারদের  রসদে ভরা উইকেটে জস বাটলারের ফিফটিতে ১৭৫ রান করে রাজস্থান। ডেভন কনওয়ের ফিফটির পর সাতে নামা জাদেজা আর আটে নামা ধোনির ঝড়ের পরও ১৭২ রানে থেমেছে চেন্নাই।

শেষ দিকে নেমে মাত্র ১৭ বলের উপস্থিতিতে ১ চার, ৩ ছক্কায় ধোনি অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। জাদেজার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৫।

শেষ দুই ওভার থেকে ৪০ রানের চাহিদায় জেসন হোল্ডারের ১৯তম ওভার কাজে লাগায় চেন্নাই। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়েই বাউন্ডারি মারেন জাদেজা। ওয়াইড পাওয়ার পর ফাইন লেগ দিয়ে পাঠান ছক্কা। শেষ বলে সোজা আরেক ছক্কায় ১৯ রান নিয়ে আসেন তিনি।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১। বল করতে আসেন সন্দীপ শর্মা  দরকার ছিল ম্যাজিকাল কোন কিছুর। প্রথম দুই বলই হয় ওয়াইড। বৈধ প্রথম থেকে আসেনি রান। পরের দুটি বলে ফ্লাট ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে তুলেন ধোনি।

এবার আইপিএলের আগে ছক্কার অনুশীলন করেছিলেন। যতগুলো ম্যাচে নেমেছেন তাকে দেখা গেছে দারুণ সব ছক্কার হিট করতে। সফল হচ্ছেন বেশিরভাগ সময়।

তবে ধোনিকে তেতে উঠতে দেখেও দমে যাননি সন্দীপ। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুইটি সিঙ্গেলের পর শেষ বলে ৫ রান করার চ্যালেঞ্জ দাঁড়ায় ধোনির সামনে। তাকে এক রানের বেশি নিতে দেননি সন্দীপ।

উইকেটের বিচারে চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় রতুরাজ গায়কোয়াড় এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি আনেন কনওয়ে। রাহানে আর শিভম দুবেকে পর পর তুলে নেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। মঈন আলি আর ইম্পেক্ট নামা আম্বাতি রাইডুও করেন হতাশ।

ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে নামেন জাদেজা, যোগ দেন ধোনি। দুই অভিজ্ঞ মিলে দলকে ফের জেতার রাস্তায় এনেছিলেন। যদিও কাজটা পরে আর হয়নি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে রাজস্থান রয়্যালসও এদিন বিস্ফোরক হতে পারছিল না। যশভি জয়সাওয়াল ঝড় তোলার আগেই নিভেছেন, অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন জাদেজার বলে কোন রান না করেই বোল্ড।

বিপদে পড়া দল উদ্ধার পায় বাটলার আর অশ্বিনের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে দুজনে আনেন ৪৭ রান। উপরে নেমে নিজের চেনা মাঠে ২২ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন অশ্বিন।

বাটলার ৩৬ বলে ৫২ করে থামার পর শেমরন হেটমায়ার ১৮ বলে করেন ৩০। তার শেষের এই মুন্সিয়ানায় নিরাপদ পুঁজিতে চলে যায় রাজস্থান। চার ম্যাচের তিনটা জিতে টেবিলের শীর্ষেও উঠে যায় তারা।

Comments