প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে তামিম

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন তামিম ইকবাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আকস্মিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেওয়া ক্রিকেটারের সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

আগের দিন বাংলাদেশকে দলকে চোখের জলে ভেসে বিদায় বলার পর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম ছেড়ে থেকে ঢাকায় এসেছেন তামিম। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এরপর দুপুরে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফির সঙ্গে তিনি গেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলমান ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে এসেছে তামিমের অবসরের ঘোষণা। গত বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে টাইগারদের নেতৃত্ব দেন তিনি। নিজ শহরের মাঠে সেই ম্যাচটি হয়ে থাকল বাঁহাতি তারকা ওপেনারের ক্যারিয়ারের শেষ।

তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর রাতেই এই ঘটনায় রাজধানীর একটি হোটেলে জরুরি সভায় বসে বিসিবি। সেই সভা শেষে গণমাধ্যমকে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানান, তামিমের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারছেন না। দলের ম্যানেজার ও তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবালের মাধ্যমে তাকে ফেরার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে এখনো বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম ব্যাটার তামিমের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি।

৩৪ বছর বয়সী তামিমকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ফিরে পাওয়ার আশাও প্রকাশ করেন পাপন। তার চাওয়া, মত বদলে আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব আবার নেন বাঁহাতি ওপেনার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডের আগে থেকেই তামিমকে নিয়ে উত্তপ্ত ছিল হাওয়া। তিনি বলেছিলেন, শতভাগ ফিট না থেকেও ম্যাচ খেলবেন, ম্যাচ খেলে বুঝবেন নিজের অবস্থা। তামিমের এমন মন্তব্যের জেরে বিসিবি সভাপতি একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ হেরে আফগানদের কাছে। ব্যাট হাতে তামিম ছিলেন ব্যর্থ। সেদিন মধ্যরাতে সাংবাদিকদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানান তিনি। সেই সংবাদ সম্মেলনেই আসে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা।

তামিমের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফি জানান নিজের প্রতিক্রিয়া। মাশরাফির বিদায়ের পরই ওয়ানডের নেতৃত্ব পাওয়া তামিম নিজ ইচ্ছায় সরে গেছেন নাকি কোনো চাপ তাকে বাধ্য করেছে, এই প্রশ্ন তোলেন দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago