লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলার ইতিবাচক দিক দেখছেন সাকিব

Shakib Al Hasan
সাকিব আল হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে দেশে ফেরার পর সাকিব আল হাসান পার করছেন ব্যস্ত সময়। তবে সেটা খেলার মাঠে বা অনুশীলনে নয়। বাণিজ্যিক কাজে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে বরিশালে একটি চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পর বিকালে ঢাকার বনশ্রীতে একটি মোবাইল কোম্পানির অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলার ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন তিনি।

কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে অংশগ্রহণের মাঝপথে সাকিব উড়ে যান শ্রীলঙ্কায়। সেখানে গল টাইটান্সের হয়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলেন বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। কোয়ালিফায়ার থেকে গল ছিটকে গেলে দুবাই যান তিনি। সেখানে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে গতকাল সোমবার তিনি দেশে পা রাখেন। এরপর এদিন সকালে হেলিকপ্টারে করে বরিশাল গিয়ে আবার দুপুরেই ঢাকায় ফিরে আসেন সাকিব। তারপর একটি মোবাইল কোম্পানির পণ্যদূত হিসেবে বনশ্রীতে যান তিনি।

সাকিব ছাড়াও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলেন তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস ও শরিফুল ইসলাম। তারা সবাই আছেন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশের স্কোয়াডে। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লঙ্কান আসরটিতে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাকিব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ আমাদের জন্য একটু গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেহেতু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আছে। ওদের সবার সঙ্গে খেললাম, মাঠের সম্পর্কে ধারণা হলো, ওদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ধারণা হলো। সেদিক থেকে ভালোই হলো।'

সামনে প্রচুর খেলা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। এশিয়া কাপের পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবে টাইগাররা। এরপর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে আরও দুটি সিরিজ। ঠাসা সূচি মাথায় রেখে চোটমুক্ত থাকা জরুরি মনে করেন সাকিব, 'শুধু চেষ্টা করছি যতটা ফিট থাকা যায়। যেহেতু সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে, প্রচুর খেলা আছে, ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি।'

মাঠের ভেতরে ও বাইরে সাকিবের ব্যস্ততার যেন অন্ত নেই। তবে মানিয়ে চলার উপায় বের করে এই তারকা অলরাউন্ডার উপভোগ করেন ব্যস্ততা, 'পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়। যেহেতু সময় এত বেশি নেই, এই অল্প সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করার একটা উপায় তো বের করাই লাগে। একটু ব্যস্ততা থাকে। কিন্তু ভালোই লাগে ব্যস্ততা।'

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Khaleda urges unity, quick action to institutionalise democracy

She also demanded a comprehensive list of victims of abduction, murder, and extrajudicial killings

2h ago