নাঈমের ভিন্নরূপ, ধরাশায়ী চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা
গত বিপিএলে একশোর আশেপাশে স্ট্রাইকরেটে দুশোর কিছু বেশি রান করেছিলেন নাঈম শেখ। জাতীয় দলেও মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হয়ে জায়গা হারান তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে এবার পাওয়া গেল ভিন্ন অ্যাপ্রোচে। তার আগ্রাসী শুরু বেধে দিল দুর্দান্ত ঢাকার রান তাড়ার সুর। পর্যাপ্ত পুঁজি না পাওয়ার ঘাটতিতে পুড়ল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। আগে ব্যাট করে ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে ১৪৩ রান করে কুমিল্লা। ৩ বল আগে ওই রান টপকে জিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
তিনটি করে চার-ছয়ে ৪০ বলে ৫২ রান করে ঢাকার ব্যাটিং হিরো নাঈম। বোলিংয়ে ঢাকার নায়ক শরিফুল। হ্যাটট্রিকসহ ২৭ রানে ৩ উইকেট পান তিনি।
বিপিএলের প্রথম দিন উইকেট ছিল চিরায়ত মন্থর ঘরানার। হয়ত আগের কয়েকদিন শৈত্য প্রবাহের প্রভাব থাকতে পারে উইকেটের উপর।
অনেক ব্যাটারই শট খেলতে ধুঁকেছেন। নাঈম এক্ষেত্রে একদম ভিন্ন। কুমিল্লার ইনিংসে ইমরুল, হৃদয়রা যেখানে ১১৭, ১১৪ স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন। নাঈম ১৩০ স্ট্রাইকরেটে পেয়েছেন ফিফটি।
তার শুরুটা ছিলো আরো বিস্ফোরক। প্রথম ১৪ বলেই তিনি করে ফেলেন ২৮ রান। পেশিতে টান পড়ার পর নাঈমের ছুটে চলার গতি কিছুটা কমেছে। ৪০ বলে ৫২ করে তানভীর ইসলামের স্পিনে শিকার হন নাঈম। তার সঙ্গে বলে ১০১ রানের জুটিতে সঙ্গ দেন লঙ্কান দানুশনা গুনাথিলেকা। তিনি অতটা পড়তে পারেননি। নাঈমের পর তিনি ফেরেন ৪২ বলে ৪১ করে।
এরপর লাসিথ কোরসপোল দ্রুত ফিরলে কিছুটা মোড় ঘোরার আভাস ছিলো। তবে ইরফান শুক্কুর (১৬ বলে ২৪) ধরে রাখেন হাল। শেষ ওভারে আউট হলেও বিপদে পড়েনি ঢাকা।
টস হেরে দুপুরে ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু পায় কুমিল্লা। অধিনায়ক লিটন ধুঁকে ধুঁকে ফেরেন ১৬ বলে ১৩ করে। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল-হৃদয় মিলে শতরানের জুটি পেলেও রান তোলার গতি ছিলো মন্থর। ইমরুল একবার জীবন পেয়ে ফিফটি পেলেও ৬৬ রান করতে লাগিয়ে ফেলেন ৫৬ বল। হৃদয় ৪৭ করেন ৪১ বলে।
ঢাকার মোমেন্টাম আসে বোলিংয়ের শেষ ওভারে। ওই ওভারে দুই ছক্কা খেলেও হ্যাটট্রিক করে বসেন শরিফুল ইসলাম। দেড়শোর নিচে পাওয়া লক্ষ্য পেয়ে নাঈম বিপিএলে অভিষিক্ত মুশফিক হাসানকে স্নায়ু চাপে ফেলে দলকে এনে দেন ভালো শুরু। শেষ দিকে কিছুটা নড়বড়ে পরিস্থিতি হলেও জিততে সমস্যা হয়নি তাদের।
Comments