ইংল্যান্ড বাজবল খেললে উল্টো ভারতের সুবিধা দেখছেন সিরাজ

mohammad siraj
ফাইল ছবি

ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে তুমুল আলোচনা চলছে বাজবল নিয়ে। তবে ভারতের উইকেট ও কন্ডিশনে আগ্রাসী ব্যাটিং ঘরানার ক্রিকেট খেলাটা ইংল্যান্ডের জন্য মোটেও সহজ হবে না, মনে করেন মোহাম্মদ সিরাজ। এমনকি ভারতের পেসারের মতে, ইংল্যান্ড তাদের এই কৌশলে অটল থাকলে ম্যাচ দেড় কিংবা দুইদিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে শুরু হবে দুই দলের পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ড বাজবল খেলবে কিনা বা খেললেও সেটা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে গত কিছুদিন ধরে চলছে কথার লড়াই। নানা ধরনের মতামত দিচ্ছেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার, বিশেষজ্ঞ ও ভক্তরা।

সিরিজ শুরুর আগের দিন প্রতিপক্ষকে যেন হুঁশিয়ারই করেছেন ২৯ বছর বয়সী তারকা সিরাজ। ভারতীয় গণমাধ্যম জিও সিনেমাকে তিনি বলেছেন, ইংল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নির্ভর কৌশল বেছে নিলে টেস্ট দ্রুতই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, 'যদি ভারতের কন্ডিশনে ইংল্যান্ড বাজবল খেলে, তাহলে ম্যাচ দেড় বা দুই দিনে শেষ হয়ে যেতে পারে। এখানে সব সময় আক্রমণাত্মক শট খেলা সম্ভব নয়। কারণ বল মাঝে মাঝে টার্ন করে, আবার অন্য সময় বল সোজা যায়।'

একই প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, 'তাই আমার মনে হয়, এখানে বাজবল দেখতে পাওয়াটা কঠিন হবে। কিন্তু যদি তারা খেলে, আমাদের জন্য এটা ভালো হবে। কারণ ম্যাচ দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে।'

টেস্ট সিরিজ খেলতে সবশেষ ২০২১ সালে ভারত সফর করেছিল ইংল্যান্ড। সেবার স্বাগতিকরা সিরিজ জিতে নিয়েছিল ৩-১ ব্যবধানে। স্রেফ একটি ম্যাচ পাঁচদিনে গড়িয়েছিল। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে সিরাজ বলেছেন, 'তাদের গতবারের ভারত সফরের সময় ম্যাচগুলো খুব দ্রুত শেষ হয়ে গিয়েছিল। ওই সিরিজে (২০২১ সালে) আমার মনে হয়, আমি দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম।'

দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলার স্মৃতি সিরাজকে অনুপ্রাণিতই করবে। তিন বছর আগের ওই সিরিজে চেন্নাই ও আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। দুটিতেই জিতেছিল ভারত। সহায়ক উইকেটে দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল ছড়ি ঘোরানোয় যদিও খুব বেশি বোলিংয়ের সুযোগ হয়নি সিরাজের। তারপরও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Rooppur payment: Govt to seek US sanction waiver

As much as $900 million has been on hold since 2022 in the central bank's escrow account, a third-party special deposit fund to hold the assets of a transaction temporarily.

16h ago