রংপুরের পাহাড়ের জবাবে স্রেফ হারের ব্যবধানই কমালো চট্টগ্রাম
সকালে ঢাকায় এসে দুপুরে প্রথমবার বিপিএল খেলতে নেমেই ফিফটি করলেন রেজা হেনড্রিকস, বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা আরেক তারকা জিমি নিশাম করলেন ঝড়ো ফিফটি। তাদের পাশাপাশি রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহানদের অবদানে দুইশো ছাড়ানো পুঁজি গড়ে রংপুর রাইডার্স। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া কখনই জেতার অবস্থা তৈরি করতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শনিবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে আসরের প্রথম দুইশো ছাড়ানো পুঁজি দেখা গেলেও ম্যাচ হলো ভীষণ একপেশে। রংপুরের ২১১ রানের জবাবে ১৫৭ পর্যন্ত যেতে পারল চট্টগ্রাম। ম্যাচ হারল ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলা অনেকটা নিশ্চিত রংপুরের।
রংপুরকে জেতাতে হেনড্রিকস করলেন ৪১ বলে ৫৮, নিশাম ২৬ বলে করেন ৫১। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৭। পরে বল হারে ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। চট্টগ্রামের ইনিংস টেনেছেন সৈকত আলি। শুরুতে মন্থর ব্যাট করা ওপেনার থামেন ৪৫ বলে ৬৩ রানে। শেষ দিকে নেমে শুভাগত হোম ১৩ বলে ৩১ করে ব্যবধান আরও কিছুটা কমান।
রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে হলে জশ ব্রাউনকে তুলতে হতো ঝড়। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ফিল্ডিংয়ে জিমি নিশামের ক্যাচ ছাড়ার পর ব্যাট হাতেও ব্যর্থ। এক ছক্কা মেরে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
তিন নেমে টম ব্রুস মেটাতে পারেননি মেরে খেলার দাবি। ১৩ বলে ১৪ করা কিউই ব্যাটার ইমরান তাহিরের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ। তাহিরেরও এদিন ছিলো বিপিএল অভিষেক। ব্রুসের বিদায়ের পর শাহাদাত হোসেন দিপু নেমে খাবি খেতে থাকেন। ১৩ বল খুইয়ে ফেরেন ৯ রান করে।
ওপেন করতে নামা সৈকত ধুঁকছিলেন। প্রথম ২৫ বল থেকে স্রেফ ১৫ রান তুলেছিলেন তিনি। এরপর কয়েকটি শটে সেটা পুষিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাতে স্ট্রাইকরেট কিছুটা বাড়লেও জেতার পথের কোন আভাসই তৈরি করতে পারেননি। দলের হার নিশ্চিত অবস্থায় সৈকত আউট হন ৬৩ রান করে। অধিনায়ক শুভাগত ছয়ে নেমে ঝড় তুললেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
দুপুরে টস জিতে ব্যাট করতে যাওয়া রংপুরকে দুইশো ছাড়ানো পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা হেনড্রিকস-নিশাম। বিপিএলে এসে এদিন প্রথম খেলতে নামেন দুজন। ওপেন করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান হেনড্রিকস করেন ৪১ বলে ৫৮। শেষ দিকে ২৬ বলে ৫১ করে দলকে চূড়ায় তুলেন নিশাম।
দেশিরাও ভালো ব্যাট করেছেন। হেনড্রিকসের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১৭ বলে ২৪ করে আউট হন রনি তালুকদার। তিনে নেমে সাকিব ১৬ বলে করেন ২৭ রান। এই রানের পথে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ের পর নেমে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শুরুতে ধুঁকলেও পরে সামলে নিয়ে খেলেন ২১ বলে ৩১ রানের ক্যামিও। শুরুতে ধুঁকেছেন নিশামও। আল-আমিন হোসেনের বলে একবার দিয়েছিলেন জীবন। ৯ রানে থাকা নিশামের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন জশ ব্রাউন। এই মূল্য পরে দিয়েছে তাদের পুরো দল।
Comments