‘আমার কোনো আক্ষেপ নাই’
লাহিরু কুমারার ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মেরে তাওহিদ হৃদয় পৌঁছান ৯৬ রানে। মাঠ ছাড়ার সময় মাথা উপরে দিয়ে থাকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায়। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে কোন আক্ষেপ নেই বলে জানালেন ডানহাতি ব্যাটার।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় রান করেও হারতে হয় বাংলাদেশকে। সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তর পর বাংলাদেশকে টেনে তিনশোর কাছে নিয়েছিলেন হৃদয়। ১০২ বলে খেলে ৯৬ রানের ইনিংস। তাতে পাওয়া ২৮৬ রানের পুঁজি পাথুম নিসাঙ্কা আর চারিথা আসালাঙ্কার ঝলকে পেরিয়ে যায় সফরকারীরা।
হৃদয় এদিন ৫০ করেছিলেন ৭৪ বলে। পরের ৪৬ রান নেন স্রেফ ২৮ বলে। শেষ ওভারে লাহিরু কুমারাকে দুই ছক্কা মারলেও তার আগে স্কুপ শটের চেষ্টায় ব্যাটে পাননি। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ৪৮তম ওভারেও দুই ছক্কা পাওয়ার পর তিনটা বল মারতে গিয়ে ব্যাটে সংযোগ হয়নি। আর একটা শট লাগলেও সেঞ্চুরি হতে পারত।
ওয়াডেতে ৭বার ফিফটি পেরিয়েছেন। নব্বুই পেরুলেন এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। কাছে গিয়েও তিন অঙ্ক স্পর্শ হয়নি। হৃদয়ের অবশ্য তা নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই, 'আমার কোনো আক্ষেপ নাই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ বলতে পারে হয়ত ৯৬, আরেকটা বল থাকলে হয়ত অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারে। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। আগের ম্যাচে রান করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার প্ল্যান থাকে যদি শুরু পেয়ে যাই যেন বড় করতে পারি।'
এদিন ১৮৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর টেল এন্ডারদের নিয়ে আরও ৯৭ রান যোগ করেন হৃদয়। তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৪৭ এবং তাসকিন আহমেদের সঙ্গে ২৩ বলে যোগ করেন ৫০ রান। সতীর্থদের উপর আস্থার থাকাতেই জুটি করতে পেরেছেন তিনি, 'আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন আমার মাথায় ছিল মিরাজের পরেও (তানজিম) সাকিবও ভালো ব্যাটিং করে, তাসকিন ভালো ব্যাটিং করে। এমনকি তাইজুল ভাই, শরিফুল এরাও ভালো ব্যাটিং করে। আমার ওদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওরা শেষ পর্যন্ত যারা আছে তাদের নিয়েই আমি খেলব। দলের জন্য যতটুকু ক্যারি করতে পারি।'
Comments