আবার শৃঙ্খলাভঙ্গ করে ‘ফাইনালে’ নিষিদ্ধ হৃদয়

tawhid ridoy
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আরও একবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রতিক্রিয়া দেখানোয় শাস্তির মুখে পড়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। আগের সাত ডিমেরিটের সঙ্গে আরো এক ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে তার নামের পাশে। ফলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচসহ মোট চার ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি।

বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান মিঠু দ্য ডেইলি স্টারকে শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'আজ আউট হওয়ার পরে প্রতিক্রিয়া দেখানো টুর্নামেন্টের আচরণবিধি অনুসারে নূন্যতম লেভেল ওয়ান অপরাধ। এতে আরও এক ডিমেরিট পয়েন্ট হলে ওর মোট আট ডিমেরিট পয়েন্ট হয়ে যায়। এটা হলে মোট চারটা ম্যাচ সে নিষিদ্ধ হবে। আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচসহ চারটা ম্যাচ সে খেলতে পারবে না নিয়ম অনুযায়ী।'

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে সুপার লিগের ম্যাচে ৫৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন হৃদয়। ওয়াসি সিদ্দিকির বলে ক্যাচ আউট হয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে দুহাত প্রসারিত করে প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি। যা শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। এতে তাকে নতুন করে একটি ডিমেরিট ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এতে করে আগামী ২৯ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হৃদয় খেলতে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন মিঠু। আবাহনীর পয়েন্ট ২৬ ও মোহামেডানের পয়েন্ট ২৪ হওয়ায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। তার বাকি তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সাজা কার্যকর হবে আগামী বছর।

হৃদয়ের শাস্তি দেওয়া এবং সেটা কমানো-বাড়ানো নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই মহানাটক করছে বিসিবি। এর আগে তিনবার বদল হয়েছে তাদের সিদ্ধান্ত।

গত ১২ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে মাঠে বাজে প্রতিক্রিয়া দেখান হৃদয়। এই সময় বন্ধ থাকে খেলা। পরে ম্যাচ রেফারি তাকে চার ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ায় এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। ওই ম্যাচের পর গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলে আম্পায়ারের সমালোচনা করেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটার। এতে করে ডিমেরিট পয়েন্ট বেড়ে হয় সাতে। ফলে তাকে আরও এক ম্যাচ অর্থাৎ মোট দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়।

সেই নিয়মে প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ খেলার কথা নয় হৃদয়ের। কিন্তু এক ম্যাচ (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে) বাইরে থাকার পরই বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি তাকে খেলার সুযোগ দিলে তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক। অথচ আম্পায়ার্স কমিটির সাজা কমানোর কোনো এখতিয়ার নেই, সিদ্ধান্ত আসতে হবে সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটি থেকে।

সেই খেলা নিয়ে বিসিবির একেক কমর্কতা দেন একেকরকম বক্তব্য। টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়কের পদ ছাড়েন এনামুল হক মনি। সুপার লিগের দুই ম্যাচ (অগ্রণী ব্যাংক ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে) খেলার পর সমালোচনার মুখে আবার হৃদয়ের পুরনো দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সাজা বহাল করা হয়।

তখন বিসিবি পরিচালক ও টেকনিক্যাল কমিটির নতুন আহ্বায়ক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, নিয়ম ভেঙে তাকে আগের দুই ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয়েছে। কাজেই গাজী গ্রুপের বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন না।

নতুন করে হৃদয়ের সাজা আবার বহাল করায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একদল ক্রিকেটার গতকাল বৈঠক করে চাপ প্রয়োগ করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে। সেই চাপে হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে বিসিবি। পরে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে হৃদয়কে খেলতে দেওয়া হয়। ওই আলোচিত ম্যাচেই আবার নতুন করে সাজার খড়গে পড়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago