শেফার্ড-ডেভিডের তাণ্ডবের পর বুমরাহর ঝলকে মুম্বাইয়ের ‘প্রথম’

ছবি: এএফপি

রোমারিও শেফার্ড ও টিম ডেভিড তাণ্ডব চালিয়ে শেষ চার ওভারে তুললেন ৮৪ রান। এতে ফুলে-ফেঁপে উঠল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পুঁজি। সেই বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নামা দিল্লি ক্যাপিটালস আশা জাগিয়েও পেরে উঠল না। তাদেরকে দূরে রাখতে জাসপ্রিত বুমরাহ করলেন দারুণ আঁটসাঁট বোলিং।

রোববার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২৯ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। এবারের আইপিএলে টানা তিন ম্যাচ হেরে বিপাকে থাকা দলটি ব্যর্থতার ধারা ভেঙে পেয়েছে প্রথম জয়ের স্বাদ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে মুম্বাই। জবাবে দিল্লি পুরো ওভার খেলে থামে ৮ উইকেটে ২০৫ রানে।

উদ্বোধনী জুটিতে সাত ওভারে ৮০ রান এনে মুম্বাইকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। দুজনকেই বিদায় করে অক্ষর প্যাটেল। রোহিত ২৭ বলে ৪৯ রানে থামেন। ইশানের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪২ রান। এই আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা সূর্যকুমার যাদব ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তার পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা হার্দিক পান্ডিয়াকেও আউট করেন আনরিখ নরকিয়া। মুম্বাইয়ের অধিনায়ক ৩৯ রান করতে খেলেন ৩৩ বল।

নরকিয়ার ওপর দিয়েই পরে বয়ে যায় তীব্র ঝড়। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩২ রান আনেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেফার্ড। তিনি স্রেফ ১০ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ২ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ২১ বলে ৪৫ রানের হার না মানা ইনিংস। তাদের জুটিতে আসে ১৩ বলে ৫৩ রান।

অক্ষর ২ উইকেট নেন ৩৫ রানে। নরকিয়া সমান সংখ্যক উইকেট নিতে খরচ করেন ৬৫ রান। আইপিএলের ইতিহাসে দিল্লির হয়ে এত ব্যয়বহুল বোলিং করেননি আর কেউ।

কঠিন রান তাড়ায় চতুর্থ ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় দিল্লি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটিতে তারা ফেরে লড়াইয়ে। এই জুটি ভাঙেন মুম্বাইয়ের পেসার বুমরাহ। অসাধারণ ডেলিভারিতে পৃথ্বী শকে বোল্ড করার পর অভিষেক পোরেলকেও সাজঘরে পাঠান তিনি। শ ৪০ বলে ৬৬ ও পোরেল ৩১ বলে ৪১ রান করেন।

দিল্লির দলনেতা রিশভ পান্তকে টিকতে দেননি জেরাল্ড কোয়েটজি। তার বিদায়ের পর শেষ চার ওভারে ৮২ রানের শক্ত সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা একাই চালান ট্রিস্টান স্টাবস। কিন্তু তাকে আর কেউ সহযোগিতা করতে না পারায় জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয় মুম্বাই। মাত্র ১৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া দক্ষিণ আফ্রিকার স্টাবস অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে। ২৫ বল মোকাবিলায় তিনি হাঁকান ৩ চার ও ৭ ছক্কা।

স্টাবসের স্বদেশি কোয়েটজি ৩৪ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। ম্যাচের শেষ ওভারেই তিনি আউট করেন ললিত যাদব, কুমার কুশাগরা ও ঝাই রিচার্ডসনকে। রানবন্যার ম্যাচে বুমরাহ থাকেন আপন মহিমায় উজ্জ্বল। ৪ ওভারে মোটে ২২ রানে ২ উইকেট পান তিনি।

চার ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে উঠেছে যৌথ সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট পাওয়া দিল্লি নেট রান রেটের হিসাবে রয়েছে সবার নিচে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh asks India to halt border push-ins, cites security concerns

The move follows reports that BSF pushed in around 300 people into Bangladesh between May 7 and May 9

1h ago