৩১১.১১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলেও রায়নার পেছনে ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক

আইপিএলের ইতিহাসে কোনো ইনিংসে অন্তত ৭৫ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের এই ইনিংসের অবস্থান দুইয়ে।
ছবি: বিসিসিআই

ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই উত্তাল হয়ে উঠল জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের ব্যাট। পাওয়ার প্লে শেষে তার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়াল ৭৮ রানে। এক পর্যায়ে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির আশা জাগানো অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ব্যাটারকে থামতে হলো ৮৪ রানে। তবে ৩১১.১১ স্ট্রাইক রেটের বিধ্বংসী এই ইনিংস খেলেও একটি পরিসংখ্যানে সুরেশ রায়নার পেছনে থাকলেন তিনি।

শনিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তাণ্ডব চালান দিল্লি ক্যাপিটালসের ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। ২২ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার স্রেফ ২৭ বলে খেলে ১১ চারের সঙ্গে হাঁকান ৬ ছক্কা। চলতি আইপিএলে পাঁচ ম্যাচে এটি তার তৃতীয় ফিফটি। ভীষণ আগ্রাসী এই ইনিংসের পথে তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ১৫ বলে। দিল্লির হয়ে দ্রুততম পঞ্চাশের রেকর্ড এটি। কয়েক দিন আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষেও সমান সংখ্যক বল মোকাবিলায় ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

আইপিএলের ইতিহাসে কোনো ইনিংসে অন্তত ৭৫ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের এই ইনিংসের অবস্থান দুইয়ে। তালিকার শীর্ষে আছেন ভারতের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার রায়না। ২০১৪ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে ৮৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলা তার ২৫ বলের ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৪৮! সেদিন ১২ চারের ছক্কা ৬ ছক্কা মেরেছিলেন রায়না।

ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক এদিন বিদায় নেন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। লেগ স্পিনার পিযুষ চাওলার গুগলি ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারেনি ব্যাটে। ডিপ মিডউইকেটে তার ক্যাচ নেন মোহাম্মদ নবি। ফলে শঙ্কা থাকলেও অক্ষত থেকে যায় ক্রিস গেইলের রেকর্ড। ২০১৩ সালের আইপিএলে সাবেক আক্রমণাত্মক ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।

ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান শেই হোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রিস্টান স্টাবসের ঝড়ে আইপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ পুঁজির রেকর্ড গড়েছে দিল্লি। মুম্বাইয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৭ রান করেছে তারা। ২০১১ সালে তৎকালীন কিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩১ রান করেছিল তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। আর ২০২০ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২২৮ রান তুলেছিল ক্যাপিটালস।

কোনো চার না মারলেও ৫ ছক্কায় ১৭ বলে ৪১ রান করেন তিনে নামা হোপ। ২৫ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন পাঁচে নামা স্টাবস। তার ব্যাট থেকে ৬ চারের সঙ্গে আসে ২ ছক্কা। দিল্লির বাকি ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেটও ছিল একশর বেশি।

Comments