যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেও জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভালো উইকেটে না খেলার প্রসঙ্গ আনলেন শান্ত
![Najmul Hossain Shanto Najmul Hossain Shanto](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/05/02/fads0529.jpg?itok=i2Yz1X_m×tamp=1719303727)
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারটা কোনভাবেই হজম হচ্ছে না বাংলাদেশের সমর্থকদের। মঙ্গলবার রাতের ওই বিপর্যয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে সমালোচনার ঝড়। বাংলাদেশের হারের পেছনে শেষ দিকের বোলিংয়ের বড় দায় থাকলেও আসল সর্বনাশ হয় ব্যাটিংয়েই। টপ অর্ডার ব্যাটাররা আবারও হন ব্যর্থ। এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কদিন আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কঠিন উইকেটে খেলার প্রসঙ্গ আনলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচ চট্টগ্রামে খেলে বাংলাদেশ। তাতে আসেনি বড় রান। ঢাকায় শেষ দুই ম্যাচেও তাই। সাধারণত চট্টগ্রামে রান বান্ধব উইকেট থাকলেও এবার ভিন্ন কিছু ছিলো বলে তখনই হতাশ কন্ঠে জানিয়েছিলেন শান্ত।
মন্থর, কঠিন উইকেটে খেলে ব্যাটারদের হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের জমিন এখনো নড়বড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শান্ত তাই চলে গেলেন পেছনে, 'আমরা ভালো ব্যাট করিনি। শুরুটা ভালো হয়েছিলো কিন্তু মাঝে কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলি। আমরা যদি আরও ২০ রান বেশি করতাম তাহলে ভালো পুঁজি হতো।'
'আমার মনে হয় জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমরা ভালো উইকেটে খেলিনি, ব্যাটাররা খুবই সংগ্রাম করেছে। কিন্তু সবই মানসিকতার ব্যাপার, আশা করছি ব্যাটাররা ছন্দ ফিরে পাবে।
এদিন আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে ৩৪ রান আসার পর আউট হন ১৫ বলে ১৪ করা ছন্দহীন লিটন দাস। ১৩ বলে ২০ করে ফেরেন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক শান্ত ১১ বল খুইয়ে ৩ রান করে ফেরেন। তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৫৮। তবে শুরুতে যতটা আগ্রাসী ছিলেন, পরে আর তাকে ততটা পাওয়া যায়নি।
ওই রান তাড়ায় সম্মিলিত প্রয়াসে ম্যাচ বের করে নেয় স্বাগতিক দল। শেষ ৪ ওভারে ৫৫ রানের চাহিদা কোরি অ্যান্ডারসন, হারমিত সিং মিলে তুলে নেন ৩ বল আগেই। শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানদের বোলিং করে হতাশ, 'আমাদের স্পিনাররা খুব ভালো বল করেছে। শেষ ২-৩ ওভারে আমাদের পেসাররা পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে পারেনি। আশা করছি পরের ম্যাচেই ফিরে আসব।'
২৩ মে দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।
Comments