কানপুর টেস্ট

শেষ দিনে রোমাঞ্চকর ফলের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল ভারত

বৃষ্টিতে প্রথম তিন দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হলেও চতুর্থ দিন শেষে কানপুর টেস্টে ফলাফলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Ravichandran Ashwin
ধারালো হয়ে উঠেছেন অশ্বিন

ম্যাচ জেতার সামান্য সুযোগ থাকলেও সেটা নিতে  চাইব ভারত, এই আভাস আগেই মিলেছিল। তেমন চেষ্টাই চালাচ্ছে তারা। বৃষ্টিতে প্রথম তিন দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হলেও চতুর্থ দিন শেষে কানপুর টেস্টে ফলাফলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

সোমবার চতুর্থ দিন শেষে ৫২ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ক্রিজে আছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক।

লাঞ্চের পর বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে গুটিয়ে ব্যাট করতে নেমে টি-টোয়েন্টি অ্যাপ্রোচ বেছে নেয় ভারত। মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দেয় তারা।

এরপর ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ওপেনারদের চেপে ধরে তারা। প্রবল চাপ শুরুর আধঘন্টা পার করে দিলেও ৮ম ওভারে কাটা পড়েন জাকির হাসান। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের দারুণ অফ অফ স্পিনে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তিনে নাইটওয়াচ ম্যাচ হাসান মাহমুদকে পাঠায় বাংলাদেশ, লাভ হয়নি। অশ্বিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি টিকতে পারেন ৯ বল, করেন ৪ রান।

২৬ রানে ২ উইকেট হারানো সফরকারীরা ৩ উইকেটও হারাতে পারত। ৭ রানে থাকা সাদমানের ক্যাচ স্লিপে রাখতে পারেননি লোকেশ রাহুল।

প্রথম দিনের ৩৫ ওভারের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন ভেসে যায় প্রতিকূল আবহাওয়ায়। ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে মুমিনুল ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। তার একার সেঞ্চুরিতে দুইশো ছাড়িয়ে থামে বাংলাদেশ।

লাঞ্চের পর ব্যাটিং পেয়ে ভারতীয়রা মাতে চার-ছক্কায়। মাত্র ৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ, ১০.১ ওভারে একশো রান করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে গেলে। এরপর দ্রুততম দেড়শো, দুইশো, আড়াইশো রানের রেকর্ডও নিজেদের করে নেয় তারা। টি-টোয়োন্টি গতিতে ওভার প্রতি আটের উপর রান আনতে থাকেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। যশভি জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল ফিফটি পেলেও অবদান আছে বিরাট কোহলি, শুবমান গিল, রোহিত শর্মাদের। ক্রিজে যারাই গেছেন দ্রুত রান বাড়ানোর প্রয়াস ছিলো সবার ব্যাটে।

শেষ সেশনে বাংলাদেশকে ১০ ওভারের বেশি ব্যাট করিয়ে একাধিক উইকেট ফেলতে চেয়েছিল তারা। ২১ ওভার আগে ইনিংস ছেড়ে ১১ ওভার সফরকারীদের ব্যাট করিয়ে ২ উইকেট তুলতে পেরেছে তারা। রাহুল সাদমানের ক্যাচ না ফেললে উইকেট পড়তে পারত তিনটা। শেষ দিনে খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের আধাঘন্টা আগে। খেলায় ফল আসার জন্য ভারতের প্রবল চেষ্টার বিপরীতে বাংলাদেশের অ্যাপ্রোচ কেমন হবে দেখার বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

9h ago