বাংলাদেশের মানুষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান সিমন্সের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে চরম দুঃসময়। একের পর এক সিরিজ, টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মতো পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে হারে দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে চরম হতাশা। তাদের আগ্রহও চলে গেছে তলানিতে। তবে জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ক্রিকেটের ব্যাপারে বরাবরই আবেগপ্রবণ এই জাতিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। গত বছর বিদেশের মাঠে তিনটা টেস্ট জিতলেও ঘরের মাঠে টানা ছয় টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার যেন ভিত অনেকটা নাড়িয়ে দিয়েছে দলটির। বিশেষ করে নাজুক ব্যাটিং পারফরম্যান্স টেস্টে বাংলাদেশের আগামীকেও করছে প্রশ্নবিদ্ধ।

আগামীকাল সোমবার চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজ হার এড়াতে এই টেস্টে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এই পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন সিমন্স, 'আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধৈর্য আহ্বান করব। ক্রিকেটে তাদের প্যাশন অতুলনীয়। আমরা ঠিক প্রক্রিয়ায় গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।'

প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ ২৭৩ করলে ৮২ রানে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও খুব ভালো হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং। বোলাররা চেষ্টা করলেও তাই ম্যাচ জেতা হয়নি। 

চট্টগ্রামে এবার তাই ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে খেলার চিন্তা করছেন সিমন্স, 'আমরা দল হিসেবে উপযুক্ত ব্যাট করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসেই নিজেদের চপে ফেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ইতিবাচক টেস্ট খেলা। এমন না যে ধীরে খেলে দিনে কেবল দুইশো রান করব।'

সিলেটে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের আত্মাহুতি দিতে দেখা গেছে। প্রথম ইনিংসে মাত্রা ছিল একটু বেশি। খেলোয়াড়দের এসব দুর্বলতা দেখিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন সিমন্স, 'খেলোয়াড়দের কাছে বার্তা হলো, আমরা কিছু সফট ডিসমিসালে আউট হয়েছি। আমাদের এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। দুই-তিন ম্যাচ পর পর ভালো পারফরম্যান্স হলে সেটা আমরা ভালো বলতে পারব না। টেস্টে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

1h ago