‘অপরিহার্য’ পাঁচ বোলার নিয়ে বাংলাদেশের একাদশের ছক

রক্ষণাত্মক চিন্তায় এবং ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি দুর্ভাবনায় অনেকবারই বাংলাদেশকে টেস্টে চার বোলার নিয়ে খেলতে দেখা গেছে। সাত নম্বর পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ও আটে অলরাউন্ডার রাখা দলটির কাছে ছিলো নিরাপদ। তবে বর্তমান কোচ ফিল সিমন্সের ভাবনা ভিন্ন। তিনি টেস্টে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলারের কোন বিকল্প দেখেন না। চট্টগ্রামেও পাঁচ বোলার খেলানো নিশ্চিত করেছেন আগের দিন। তবে সিলেট টেস্টে থেকে সমন্বয়ে আসছে কিছুটা বদল।
নাহিদ রানা পিএসএল খেলতে চলে যাওয়ায় একটা বদল অবধারিতই ছিলো। তার জায়গায় একজন পেসার নয় স্পিনার খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল, এবং সেই স্পিনার হতে পারেন নাঈম হাসান। অন্তত ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলন সেই আভাস দেয়। তাছাড়া জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে অন্তত চারজন বাঁহাতি থাকাতেও আরেকজন অফ স্পিনারের দিকে ঝুঁকবে বাংলাদেশ।
বদল আছে আরও একাধিক। গত কয়েক টেস্ট ধরে বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্দশার পেছনে অন্যতম কারণ ওপেনারদের ব্যর্থতা। উপায় না দেখে দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে আসা হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দ দেখানো বিজয়ের টেস্ট রেকর্ড খুব বিবর্ণ। তবু চট্টগ্রামে তিনিই সাদমান ইসলামের সঙ্গী হবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত।
রোববার দলের অনুশীলনে চট্টগ্রাম টেস্টের সম্ভাব্য দুই ওপেনার বিজয় ও সাদমানকে নিয়ে সিনিয়র সহকারি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বেশ কিছুটা সময় কাটান। তারা ব্যাটও করেন পাশাপাশি নেটে। অভাবনীয় কিছু না হলে এই দুজনকেই চট্টগ্রামে শুরুতে নামতে দেখা যাবে।
'টেস্ট ক্রিকেটে আপনার পাঁচজন বোলার দরকার, পাঁচ বোলার অপরিহার্য'- রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেন সিমন্স। সেই পাঁচ বোলারের জন পেসার, কজন স্পিনার তা বাংলাদেশ দলের প্রথা অনুযায়ী খোলাসা করেননি তিনি, 'হতে পারে তিন পেসার ও দুই স্পিনার, আবার তিন স্পিনার ও দুই পেসারও হতে পারে। আমরা আজকে রাতের দিকে তা ঠিক করব।'
তবে নাঈমকে খেলাতে হলে তিন স্পিনার খেলাতেই হবে, এবং সম্ভবত সেই পথেই হাঁটবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
দুই পেসারের মধ্যে শেষ মুহূর্তে কোন চোট দেখা না দিলে হাসান মাহমুদের খেলা একরকম নিশ্চিত। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে টেস্ট অভিষেক হতে পারে ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। সিলেটে হাসান-নাহিদের পাশাপাশি খেলেছিলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে তিনি খারাপ বল করেননি, কিছু সুযোগও তৈরি করেছিলেন। তবে তানজিমকে একাদশে দেখা যেতে পারে তার বোলিংয়ের ধরণের কারণে। সিমন্সের মতে তানজিমকে দেখে যতটা মনে হয় তার বলের গতি আরেকটু বেশি। যেহেতু নাহিদ নেই, তানজিমকে দিয়ে এই ঘাটতি পূরণের চিন্তা হচ্ছে। এছাড়া তানজিমের ব্যাটিং দক্ষতাও বিবেচনায় নিচ্ছেন কোচ, 'আমার মনে হয় যেকোনো সংস্করণে সে (তানজিম) ঝলক দেখাতে পারে। তার বোলিং চতুর, ভালো জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল ফেলতে পারে। তাছাড়া সে ব্যাটিংয়েও গভীরতা বাড়ায় যা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধার।'
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: এনামুল হক বিজয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
Comments