চার বছর পর মিরাজের সেঞ্চুরি, বসলেন সাকিবের পাশে

আগের দিন বিকালে টপাটপ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় লিড নিশ্চিত করল মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনের স্বাদ নিলেন এই অলরাউন্ডার। টেস্টে চার বছর পর পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। একইসঙ্গে এই সংস্করণে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেট পূর্ণ করে বসলেন সাকিব আল হাসানের পাশে।
বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় শতক তুলে নিয়েছেন মিরাজ। ৭০ বলে ফিফটিতে পৌঁছানো ডানহাতি ব্যাটার তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১৪৩ বলে। সাবলীল ও ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াও মিলেছে তার। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন সাজঘরে। ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে তার ক্যাচ নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক টাফাডোজোয়া সিগা। তখন ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই মাঠেই ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৩ রানের ইনিংস।
সিলেট আগের টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেলেও বল হাতে মিরাজ ছিলেন উজ্জ্বল। অফ স্পিনে দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট মিলিয়ে মোট ১০ শিকার ধরে স্পর্শ করেন সাদা পোশাকে ২০০ উইকেটের মাইলফলক। এবার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লাল বলের ক্রিকেটে ২০০০ রানও পূর্ণ হয়ে গেল তার। এই ইনিংস খেলতে নামার আগে তিনি ছিলেন মাইলফলক থেকে ৩৬ রান দূরে।
টেস্টে এতদিন বাংলাদেশের হয়ে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের কীর্তি ছিল কেবল বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিবের। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন মিরাজ।
সব মিলিয়ে যৌথভাবে পঞ্চম দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে (৫৩ টেস্ট) এই সংস্করণে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেট পূর্ণ হলো ২৭ বছর বয়সী মিরাজের। ভারতের রবীন্দ্র জাদেজাও সমান সংখ্যক টেস্টে একই অর্জনের মালিক হন। শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম (৪৩ টেস্ট)। বাকিরা হলেন পাকিস্তানের ইমরান খান (৫০ টেস্ট), ভারতের কপিল দেব (৫০ টেস্ট) ও ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫১ টেস্ট)।
Comments