লিটনের ফিফটি ও শামীমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি

ব্যাট হাতে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না লিটন কুমার দাসের। বিশেষকরে সাদা বলে। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ফিফটি ছিল এক বছরেরও বেশি সময় আগে। তবে অবশেষে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক। সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিং করেন শামীম হোসেন। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।

রোববার ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করেছে বাংলাদেশ।

৩৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করা লিটন শেষ পর্যন্ত খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। মহেশ থিকসানার বলে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলের এই ইনিংসটি সাজান ১টি চার ও ৫টি ছক্কায়। তবে মাঝে দুটি জীবনও পান তিনি। একবার উইকেটরক্ষক কুসল মেন্ডিস মিস করায় স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েননি। আরেকবার আকাশে তুলে বেঁচে যান থিকসানা বলের নিচে ঠিকঠাক পৌঁছাতে না পারায়।

তবে ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি নিঃসন্দেহে স্বস্তির লিটনের জন্য। এক বছরেরও বেশি সময় পর পেলেন ফিফটি। যেখানে মাঝে খেলেছেন আরও ১৩টি ইনিংস। মাঝে তিনবার চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেও ফিফটির দেখা পাননি। সবশেষ ২০২৪ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। শুধু টি-টোয়েন্টিই নয়, সাদা বলেই সেটা ছিল শেষ অর্ধশতক। ওয়ানডেতে শেষ ফিফটি ছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে, ভারতের বিপক্ষে।

এদিন লিটন যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন বেশ চাপেই বাংলাদেশ। দলীয় ৭ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে দলটি। পারভেজ হোসেন ইমন বল হয়ে যান নুয়ান থুসারার বলে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। আর ব্যক্তিগত ৫ রানে বিনুরা ফার্নান্দোর বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।

এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন লিটন। ৫৫ বলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই ফের দ্রুত দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদের মতো শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাওহিদ। ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। আর স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ দুই ব্যাটারকেই শিকার করেন বিনুরা।

এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে দলের হাল ধরেন লিটন। ৩৯ বলে স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। লিটনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। শর্ট ফাইন লেগে থুসারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর শামিম দারুণ কিছু শট খেলে দলের রান বাড়ান। তবে দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হয়ে ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৪৮ রান।

শামীম রানআউট হওয়ার আগের বলেই রানআউট হন জাকের আলী। এরপর টানা তৃতীয় রানআউট হতে হতে হয়নি। সাইফউদ্দিন দুই রানের চেষ্টায় দ্রুত স্টাম্প ভেঙ্গেছিলেন কুসল মেন্ডিস। ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

7h ago