ফুটবল

ঘরে ফিরছেন রামোস

রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি ঘুরে ১৮ বছর পর ফের সেভিয়াতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত

স্পেনের সেভিল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন সার্জিও রামোস। ১০ বছর বয়সে সেখানকার বিখ্যাত ক্লাব সেভিয়াতে নাম লেখান তিনি। প্রায় আট বছর যুব দলে কাটানোর পর ২০০৪ সালে সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তার। যদিও বেশিদিন সেখানে থাকেননি। তবে লম্বা সময়ের ব্যবধানে রামোস এবার ঘরে ফিরছেন। রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি ঘুরে ১৮ বছর পর ফের সেভিয়াতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সেভিয়াতে দ্বিতীয় দফায় খেলতে যাওয়ার বিষয়টি নিজেই গণমাধ্যমকে বলেছেন রামোস। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। মেডিকেল পরীক্ষার পর চূড়ান্ত হবে সব কিছু। প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত ৩৭ বছর বয়সী বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার বলেছেন, 'এটা খুবই স্পেশাল একটি দিন। ঘরে ফেরা সব সময়ই ভীষণ আনন্দের। আমাদের এখন মেডিকেল পরীক্ষাটা করাতে হবে।'

গত মৌসুম ইউরোপা লিগের শিরোপা জেতা সেভিয়ার এবারের মৌসুমের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে রয়েছে তারা। ক্লাবটি হেরেছে তিন ম্যাচের সবকটিতে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের জন্য ভূমিকা রাখতে মুখিয়ে আছেন রামোস, 'ফিরতে পেরে খুশি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবদান রাখার চেষ্টা করব যা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।'

রামোস ফ্রি এজেন্ট। তাই তাকে দলে টানার জন্য কোনো ট্রান্সফার ফি লাগছে না সেভিয়ার। গত জুন মাসে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর আর তা নবায়ন করবেন না। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, তাকে পাওয়ার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল ইত্তিহাদ। তবে সেদিকে পা বাড়াননি তিনি, 'আমি ঘরে ফেরার জন্য উদগ্রীব ছিলাম। এখানে না এসে অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো মানে হয় না।'

সেভিয়া ছেড়ে ২০০৫ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে রিয়ালে নাম লিখিয়েছিলেন রামোস। লা লিগার সফলতম ক্লাবটির হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তিনি পান তারকাখ্যাতি। লস ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে ১৬ বছরের বর্ণাঢ্য অধ্যায় শেষে ২০২১ সালে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।

রিয়ালের হয়ে পাঁচটি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অনেক শিরোপা জেতেন রামোস। এরপর পিএসজির জার্সিতে দুটি লিগ ওয়ানসহ মোট তিনটি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন তিনি। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের আগে স্পেনের পক্ষে রেকর্ড ১৮০ ম্যাচ খেলেন রামোস।

Comments