বাংলাদেশ-আফগানিস্তান লড়াইয়ের ভেন্যু কিংস অ্যারেনা

ছবি: বাফুফে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি প্রীতি ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকে। বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার মতামতকে আমলে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল টিমস কমিটি।

ফিফা উইন্ডোতে আগামী ৪ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেগুলো কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে ছিল জল্পনা-কল্পনা। দুই বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একমাত্র হোম ভেন্যু হিসেবে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে ব্যবহার করছে। কিন্তু ভেন্যুটির মাঠের বেহাল দশা নিয়ে কাবরেরা প্রকাশ করে আসছেন উদ্বেগ।

গত ১৬ অগাস্ট সিলেট স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী লিমিটেড ও মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস। টানা বর্ষণে ভারী হয়ে ওঠা কর্দমাক্ত মাঠে খেলাটা কষ্টসাধ্য ছিল দুই দলের ফুটবলারদের জন্য। সেদিন ভেন্যুটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে উপস্থিত ছিলেন কাবরেরা। পরে তার মতামত গ্রহণ করে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটির ভেন্যু করেনি বাফুফে।

শনিবার এক ভিডিও বার্তায় বাফুফের সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, 'বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ফিফা প্রীতি ম্যাচ দুটি ৪ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হোটেল রিজেন্সিতে থাকবেন। আফগানিস্তান দল ২৬ আগস্ট ঢাকায় আসবে। তারাও একই হোটেলে অবস্থান করবে এবং একই ভেন্যুতে অনুশীলন করবে।'

আফগানদের বিপক্ষে লড়াইকে সামনে রেখে আগামী সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করবে বাংলাদেশ। তার আগে এদিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন প্রধান কোচ কাবরেরা। নাবিলের ভিডিও বার্তা দেওয়ার আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন নিজের চাওয়া, '(ঈগলসের বিপক্ষে ২-০ গোলে) আবাহনী জিতেছে। কিন্তু (সিলেটের) মাঠের অবস্থা ভালো ছিল না। আশা করি, (আন্তর্জাতিক) ম্যাচ দুটি আমরা ঢাকায় খেলতে পারব।'

গ্যালারিতে চেয়ারে বসার ব্যবস্থাপনা না থাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা এখনও এএফসির ছাড়পত্র পায়নি। তারপরও ভেন্যুটিকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের বেছে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। কারণ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ আয়োজনের তুলনায় প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে এএফসি কিংবা ফিফার মানদণ্ড কিছুটা শিথিল।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago