৪৪তম শিরোপা জিতে চূড়ায় মেসি
লিওনেল মেসির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। তার অনবদ্য অবদানে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপার ছোঁয়া পেল ইন্টার মায়ামি। এই অর্জনের মাধ্যমে আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা। ব্যক্তিগত শিরোপা জয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে উঠলেন তিনি।
রোববার জিওডিস পার্কে অনুষ্ঠিত লিগস কাপের উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে ন্যাশভিল এসসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মায়ামি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর ম্যারাথন টাইব্রেকারে ১০-৯ গোলে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ক্লাবটি। ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড মেসি এতে গড়েছেন ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপার স্বাদ নেওয়ার কীর্তি।
লা পুলগা পেছনে ফেলেছেন এতদিন যৌথভাবে শীর্ষে থাকা দানি আলভেসকে। দুজনে একসঙ্গে লম্বা সময় সতীর্থ হিসেবে খেলেছিলেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায়। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার আলভেস। তার নামের পাশে রয়েছে ৪৩টি শিরোপা।
গত ১৫ জুলাই মায়ামির সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন মেসি। ইউরোপ অধ্যায়ের ইতি টেনে তিনি পাড়ি জমান আমেরিকায়। নতুন ঠিকানায় প্রথম শিরোপা জেতার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। এমএলএসের চলমান মৌসুমের পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে থাকা দলটির জার্সিতে মাত্র সাত ম্যাচ খেলেই উঁচিয়ে ধরেছেন শিরোপা। আসরজুড়ে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো মেসির সুবাদে মায়ামিও পেয়েছে ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা।
১০ গোল করে লিগস কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। আসরের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি। ফাইনালে তার গোলেই প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টানেন ন্যাশভিলের ফ্যাব্রিস-জ্যাঁ পিকো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো গোল না হলে খেলা সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে। এই প্রতিযোগিতায় নেই কোনো অতিরিক্ত সময়।
ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে মায়ামির জয়ের নায়ক অবশ্য গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। অসামান্য দক্ষতায় প্রতিপক্ষের দুটি স্পট-কিক রুখে দেন তিনি। এছাড়া, নিজেও শট নিয়ে জাল খুঁজে নেন আমেরিকান এই ফুটবলার।
মেসির ৪৪ শিরোপা:
বার্সেলোনা (৩৫)
স্প্যানিশ লা লিগা: ১০
কোপা দেল রে: ৭
স্প্যানিশ সুপার কাপ: ৮
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ৪
উয়েফা সুপার কাপ: ৩
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ৩
পিএসজি (৩)
ফরাসি লিগ ওয়ান: ২
ফরাসি সুপার কাপ: ১
ইন্টার মায়ামি (১)
লিগস কাপ: ১
আর্জেন্টিনা (৫)
বিশ্বকাপ: ১
কোপা আমেরিকা: ১
ফিনালিসিমা: ১
অলিম্পিক: ১
যুব বিশ্বকাপ: ১
Comments