রেকর্ড দর্শকের ম্যাচে মেসির নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল মায়ামি

ছবি: এএফপি

টানা পাঁচ ম্যাচে জয়হীন ইন্টার মায়ামি অবশেষে গেরো খুলতে পারল। তাদের জয়ে ফেরার নায়ক বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। সতীর্থের গোলে অবদান রাখার পর দূরপাল্লার দুর্দান্ত শটে নিজেও জাল কাঁপালেন তিনি। প্রতিপক্ষ স্পোর্টিং কানসাস সিটির মাঠে তার নৈপুণ্য উপভোগ করলেন রেকর্ড সংখ্যক দর্শক।

রোববার সকালে মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে মায়ামি। তাদের বাকি দুই গোলদাতা হলেন দিয়েগো গোমেজ ও লুইস সুয়ারেজ। কানসাসের পক্ষে জোড়া গোল করেন এরিক টমি।

ধুঁকতে থাকা মায়ামির সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ জয় ছিল গত মার্চের ১৭ তারিখ। এরপর দুটিতে ড্র করলেও তিনটিতে হেরে যায় তারা। এদিন ফ্লোরিডার ক্লাবটির জয় পাওয়ার মূলে ছিল মেসির ঝলমলে পারফরম্যান্স। গোল অবশ্য আরও একটি তিনি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে ৩০ গজ দূর থেকে তার ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

এক মাসের বেশি সময় পর শুরুর একাদশে ফেরা মেসি চোটের কারণে মাঝে ক্লাবের হয়ে টানা চার ম্যাচ খেলতে পারেননি। আগের দুটি ম্যাচে তিনি খেলেন বদলি হিসেবে। তবে কলোরাডোর সঙ্গে ড্র করতে পারলেও মন্তেরের কাছে হেরে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায় নেয় মায়ামি।

অ্যারোহেড স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ৭২ হাজার ৬১০ জন ভক্ত-সমর্থক। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কানসাস শহরে কোনো ফুটবল ম্যাচে এত দর্শক আগে কখনো হয়নি। ২০ হাজারের বেশি দর্শকের ব্যবধানে ভাঙা পড়েছে আগের রেকর্ড। ২০১০ সালে অ্যারোহেড স্টেডিয়ামেই একটি প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করেছিলেন ৫২ হাজার ৪২৪ জন। সেদিন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল স্পোর্টিং কানসাস (তখন কানসাস সিটি উইজার্ডস নামে তারা পরিচিত ছিল)।

অ্যারোহেড স্টেডিয়াম কানসাসের মূল ঘরের মাঠ নয়। এজন্য তারা ব্যবহার করে থাকে চিলড্রেনস মার্সি পার্ক স্টেডিয়ামকে, যার ধারণক্ষমতা ১৯ হাজারেরও কম। মজার ব্যাপার হলো, এই ম্যাচটি অ্যারোহেডে সরিয়ে নেওয়ার মূল কারণ ছিলেন মেসি।

খেলার ষষ্ঠ মিনিটে কানসাসকে এগিয়ে দেন টমি। ধাক্কা সামলে মেসির পাসে ১৮তম মিনিটে গোমেজের গোলে সমতা টানে মায়ামি। ওই স্কোরলাইন নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে মেসি প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন। তবে লিড স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। সাত মিনিট পর টমি আবার লক্ষ্যভেদ করেন স্বাগতিকদের হয়ে। ৭১তম মিনিটে জয়সূচক গোলের দেখা পেয়ে যায় মায়ামি। গোমেজের পাসে ফাঁকা জালে বল ঠেলে দেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।

ভীষণ কাঙ্ক্ষিত জয়ে মায়ামির অবস্থান এখন এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। নয় ম্যাচে চার জয়, তিন ড্র ও দুই হারে তাদের অর্জন ১৫ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা নিউইয়র্ক রেড বুলস সমান পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুইয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

India plane crash death toll revised to 240 after 'double-counting'

It’s the first Dreamliner crash since its 2011 commercial debut, says Aviation Safety Network

15h ago