চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগে ধাক্কা খেল রিয়াল

ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের ফাইনালে আহেলিয়া চুয়ামেনিকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
ছবি: এএফপি

শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো শঙ্কা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আহেলিয়া চুয়ামেনিকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ। পায়ে চোট পেয়ে তিনি ছিটকে গেছেন ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চ থেকে।

গতকাল শুক্রবার এই ফরাসি মিডফিল্ডারকে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচে না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কার্লো আনচেলত্তি। তবে তার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী রিয়ালের কোচ।

চুয়ামেনির বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে আনচেলত্তি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, '(সেরে উঠতে) সে নিজে নিজে কাজ করছে। তবে সে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগের) ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে না। সে ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে।'

গত ৯ মে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পায়ে চোট পান চুয়ামেনি। তাকে ম্যাচের ৭০তম মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেদিন শুরুর একাদশে ছিলেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে চুয়ামেনির চোটের কথা জানায় স্প্যানিশ লা লিগার চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। তিনি বাম পায়ের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে ভুগছেন। বায়ার্নের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ওই ম্যাচের পর থেকে রিয়ালের জার্সিতে আর দেখা যায়নি তাকে।

আগামী ২ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ১৫তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে রিয়াল। ফাইনালের ভেন্যু ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম।

এর আগে আজ শনিবার চলতি মৌসুমের লা লিগার শেষ ম্যাচে রিয়াল নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মোকাবিলা করবে রিয়াল বেতিসকে। চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করা লস ব্লাঙ্কোদের পয়েন্ট এখন ৩৭ ম্যাচে ৯৪।

আগামী ১৫ জুন শুরু হতে যাওয়া ইউরোর জন্য গত সপ্তাহে ঘোষিত ফ্রান্সের ২৫ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছেন চুয়ামেনি। তার চোট নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলছে দলটির কোচ দিদিয়ের দেশামের কপালে।

চুয়ামেনির ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া সংশয়ে পড়ে গেলেও ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি শুনিয়েছেন আশার বাণী, 'আমার মনে হয়, সে ইউরোর আগে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।'

জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় ২৪ দলের ইউরোতে ফ্রান্স খেলবে 'ডি' গ্রুপে। এই প্রতিযোগিতার দুইবারের (১৯৮৪ ও ২০০০) চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া।

Comments