রামোসের ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়, যোগ দিলেন মেক্সিকোর ক্লাবে

ছবি: মন্তেরেই টুইটার

গত জুনে সেভিয়া ছাড়ার পর থেকে ক্লাববিহীন ছিলেন সার্জিও রামোস। নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমানোর আলোচনার পাশাপাশি কিংবদন্তি স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সব ধরনের পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের গুঞ্জনও চলছিল। অবশেষে সমস্ত অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল। ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন তিনি।

মেক্সিকোর শীর্ষ লিগের ক্লাব মন্তেরেইতে যোগ দিয়েছেন ৩৮ পেরিয়ে যাওয়া রামোস। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছে এক বছরের জন্য।

৩২ দল নিয়ে আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে নতুন আঙ্গিকের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। সেখানে মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের তিনটি ক্লাব অংশ নেবে। তাদের মধ্যে একটি হলো মন্তেরেই। তারা বিশ্বকাপজয়ী সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি তারকা রামোসকে দিয়েছে ৯৩ নম্বর জার্সি।

সেভিয়ার জার্সিতে ২০০৩ সালে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু হয়েছিল রামোসের। সেখানে দুই মৌসুম খেলে তিনি নামে লেখান রিয়ালে। সফলতম স্প্যানিশ ক্লাবটিতে ১৬ বছর কাটান তিনি। অসাধারণ পারফরম্যান্সে রামোস হয়ে ওঠেন রিয়ালের ইতিহাসের সেরাদের একজন। এরপর ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়ে দুই মৌসুম পর ফিরে যান শৈশবের ঠিকানা সেভিয়ায়। সেখানে ছিলেন এক বছর। এবার ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে তিনি পাড়ি জমালেন ইউরোপের বাইরে।

রামোসকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মন্তেরেইয়ের সভাপতি হোসে আন্তোনিও নরিয়েগা বলেছেন, 'গত গ্রীষ্ম থেকেই আমরা তার সঙ্গে চুক্তির চেষ্টা করছিলাম। তখন বনিবনা হয়নি। এবার শীতকালীন দলবদলের উইন্ডোতে আমরা আবার তাকে পেতে চেষ্টা করি। তার উঁচু মান, বিশাল অভিজ্ঞতা, গভীর ব্যক্তিত্ব ও অবিসংবাদী নেতৃত্ব মিলিয়ে এই দলের তাকে প্রয়োজন।'

স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড রামোসের দখলে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে অবসরের আগে ১৮০ ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পাশাপাশি লা রোহাদের হয়ে তিনি জিতেছেন ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।

রিয়ালের হয়ে পাঁচটি লা লিগা এবং চারটি করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপসহ অনেক শিরোপা জিতেছেন রামোস। পিএসজির জার্সিতে দুটি লিগ ওয়ানসহ মোট তিনটি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি। তবে যেখান থেকে ফুটবলার হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই সেভিয়ার পক্ষে কোনো শিরোপা জেতা হয়নি তার।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago