ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড় ইয়ামাল, ফাইনালে গড়লেন দুই রেকর্ড

ছবি: এএফপি

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগেই কিশোর লামিন ইয়ামালকে নিয়ে ছিল আলোচনা। গোটা আসরে তার পরিণত পারফরম্যান্সে সেটার পারদ ছুঁয়ে ফেলেছে চূড়া। প্রত্যাশাকেও যেন ছাপিয়ে গেছেন বার্সেলোনার উইঙ্গার! আগামীর বড় তারকা হয়ে ওঠার জন্য যা যা প্রয়োজন, সবকিছুর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বল পায়ে। স্পেনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনের অন্যতম কারিগর ইয়ামালের হাতেই তাই উঠল আসরের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

রোববার রাতে বার্লিনে অনুষ্ঠিত জমজমাট ফাইনালেও ১৭ বছর ১ দিন বয়সী ইয়ামাল ছড়ান আলো। জন্মদিনের পরদিনই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের ২-১ গোলের জয়ে তিনি করেন একটি অ্যাসিস্ট। তার কাছ থেকে বল পেয়ে নিকো উইলিয়ামস এগিয়ে দেন লা রোহাদের। এরপর বদলি কোল পালমারের লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরে ইংলিশরা। আর নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে যখন স্রেফ চার মিনিট বাকি, তখন আরেক বদলি মিকেল ওইয়ারজাবালের জয়সূচক গোলে শিরোপা উঁচিয়ে ধরল লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল।

এবারের ইউরোতে স্প্যানিশদের সাত ম্যাচের সবকটিতে মাঠে নেমেছেন ইয়ামাল। চারটি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি একটি গোল এসেছে তার পা থেকে। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় ও সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতার রেকর্ড আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। শিরোপার লড়াইয়ের মঞ্চেও সেই ধারা বজায় থাকল। আরও দুটি রেকর্ড গড়লেন তিনি।

ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল আসরের ফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার এখন ইয়ামাল। আগের কীর্তিটি ছিল রেনাতো সানচেসের দখলে। তিনি ফ্রান্সের বিপক্ষে ২০১৬ সালের আসরে পর্তুগালের জার্সিতে খেলেছিলেন ১৮ বছর ৩২৮ দিন বয়সে। আরেকটি কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন ইয়ামাল। ইউরোর কোনো আসরে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠে গেছেন তিনি। তার মতো চারটি করে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনজন— যুগোস্লাভিয়ার লিউবিঙ্কো দ্রুলোভিচ (২০০০ সালে), বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড (২০১৬ সালে) ও ওয়েলসের অ্যারন রামসি (২০১৬ সালে)।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন বার্সেলোনা ও স্পেন থেকে। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ আসরে এই সম্মাননা পেয়েছিলেন মিডফিল্ডার পেদ্রি, যিনি ক্লাব পর্যায়েও ইয়ামালের সতীর্থ। ২২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ২০১৬ সালে চালু হওয়া পুরস্কারটির প্রথম বিজয়ী ছিলেন সানচেস।

Comments

The Daily Star  | English

Cashless society still a distant dream

Bangladesh’s goal of a cashless future is colliding with failed projects, user mistrust, and an economy that thrives on cash

15h ago