আলভারেজের ‘ভুল ধরতে পেরে’ রেফারিকে বলেছিলেন কোর্তোয়া

টাইব্রেকারের হুলিয়ান আলভারেজের শট জালে জড়ানোর পর স্কোরলাইনও শুরুতে দেখাচ্ছিলো ২-২, তখনো টের পাওয়া যায়নি আসলে কী হয়ে গেছে! খানিক পর যখন ভিএআরে বাতিল হয়ে যায় আলভারেজের গোল তখন জানা যায় ডাবল টাচের কথা। রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া জানান তিনিই প্রথম আলভারেজের শটের গোলমাল টের পেয়ে রেফারিকে জানিয়েছিলেন।
অ্যাতলাটিকো মাদ্রিদের হয়ে টাইব্রেকারে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন আলভারেজ। ডান পা দিয়ে শট নেওয়ার আগে তার বাম পা কিছুটা পিছলে বল স্পর্শ করে। দূর থেকে এটা বোঝা না গেলেও জুম করা ছবিতে স্পষ্ট হয়ে যায় দৃশ্য।
ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকারে শরীরের কোন অংশ দিয়েই দুবার বল স্পর্শ করলে সেই গোল গৃহীত হবে না। আলভারেজের দুই পা যেহেতু বল স্পর্শ করেছে কাজেই তার গোল গৃহীত হয়নি। পরে ওই লিড ধরেই ৪-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে রিয়াল।
ম্যাচ শেষে দারুণ খেলা গোলরক্ষক কোর্তোয়া জানান বাকিরা পরে বুঝলেও তিনি যেহেতু খুব কাছে ছিলেন আলভারেজের শটের গোলমাল ধরতে পেরেছিলেন, 'পেনাল্টি আসলে অনেকটা লটারির মতন। সে (আলভারেজ) পিছলে পড়েছিলো, বলে দুবার পা লাগিয়েছিলো। এটা তাই গোল হতে পারে না কারণ বলে দুবার স্পর্শ করা যায় না। নিয়ম তো নিয়মই, তার কপাল খারাপ বলব।'
'সবকিছু খুব দ্রুত হয়েছে, তবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম সবকিছু। উপলব্ধি করেছিলাম কিছু একটা গোলমাল হয়েছে, এজন্যই রেফারিকে গিয়ে বলি। তারা পরে ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছেন যে সে দুবার স্পর্শ করেছে বল।'
এদিন রিয়াল ছিলো না চেনা ছন্দে। একের পর এক আক্রমণ করলেও অ্যাতলাটিকোর রক্ষণ ভাঙতে পারছিলো না। প্রতিপক্ষের মাঠে ঝেঁকে বসেছিলো বিদায়ের শঙ্কা। তবে অ্যাতলাটিকোর মাঠে যে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে তা আঁচ করেছিলেন বলে জানান বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষক, 'ওদের মাঠে কাজটা যে কঠিন হবে তা আমরা জানতাম। প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা তাই স্বস্তির হবে না এটা ধারণা ছিলো। আমরা ভালো খেলিনি। চলতি মৌসুমের বাজে ম্যাচগুলোর একটা ছিলো, তাও রক্ষণে পোক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত উৎরাতে পেরেছি এটাই গুরুত্বপূর্ণ।'
Comments