রোনালদোদের সমালোচনায় পর্তুগাল কোচ

নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে ফেভারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দল পর্তুগাল। কিন্তু মাঠে উল্টো কোণঠাসা ছিল তারা। হেরেই গেছে দলটি। ক্রিস্তিয়ান এরিকসন পেনাল্টি মিস না করলে হারের ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্সে তীব্র সমালোচনা করেছেন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ।

বৃহস্পতিবার রাতে ডেনমার্কের বিপক্ষে অত্যন্ত বাজে ছন্দে ছিল পর্তুগাল। স্বাগতিক দলকে পুরোপুরি প্রাধান্য নিতে দেয় ২০১৯ সালের নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়নরা এবং শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হেরে যায়। তবে শুরুতে দিয়োগো কস্তার অসাধারণ পারফরম্যান্স পর্তুগালকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখে, তবে শেষ দিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রাসমুস হইলুন্ডের গোল জয় এনে দেয় ডেনমার্ককে।

পর্তুগালের কোচ মার্টিনেজের অধীনে এটি আরেকটি হতাশাজনক ফলাফল। গত গ্রীষ্মেও তার অধীনে ইউরো ২০২৪-এও দল ছিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তবে মার্টিনেজ স্বীকার করেছেন যে, ডেনমার্কের বিপক্ষে এই ১-০ গোলের হার গত দুই বছরে পর্তুগালের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স।

পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে কি না জানতে চাইলে মার্টিনেজ বলেন, 'হ্যাঁ, একমত। এটি আমাদের শেষ দুই বছরে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল। তবে এটি পরিকল্পনার দোষ নয়। ম্যাচ চলাকালীন আমরা যা করা দরকার ছিল, তা করতে পারিনি। ডেনমার্কের খেলোয়াড়দের আগ্রাসন ও মাঠের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছি।'

তবে এমন হারের প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন এই কোচ, 'আমাদের এমন ম্যাচ দরকার ছিল, পাঁচ মাসের বিরতির পর ম্যাচে সেই প্রয়োজনীয় তীব্রতা ছিল না। ডেনমার্কের প্রেসিং ছিল অত্যন্ত কার্যকর। শুধু লম্বা বল খেলে সময় পার করা সহজ ছিল, কিন্তু আমরা দল হিসেবে উন্নতি করতে চাই। আমরা কিছু সময়ের জন্য ভুগেছি, তবে দিয়োগো কস্তার পারফরম্যান্স আমাদের দ্বিতীয় লেগের আগে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।'

মার্টিনেজের দল অবশ্য এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। আগামী রোববার (২৩ মার্চ) দ্বিতীয় লেগে আবার মুখোমুখি হবে পর্তুগাল এবং ডেনমার্ক। মার্টিনেজ মনে করেন, তিনি হারের কারণ বুঝতে পেরেছেন এবং দ্বিতীয় লেগে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা করছেন।

তীব্রতার অভাব ছিল কি-না জানতে চাইলে এই কোচ বলেন, 'হ্যাঁ। আমরা প্রয়োজনীয় ডুয়েলগুলো জিততে পারিনি, ডেনমার্ক যেখানে বেশি খেলতে চায় সেই অঞ্চলগুলো বুঝতে পারিনি, মাঝমাঠে সংখ্যাগত সুবিধা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছি। অনেক বেশি বল হারিয়েছি, দ্রুত পাসিংয়ের অভাব ছিল, যা ক্লাব পর্যায়ে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব।'

'সমন্বয়ের অভাবও ছিল। দলের মনোভাব চমৎকার ছিল, কিন্তু প্রত্যাশিত মানের পারফরম্যান্স দিতে পারিনি। তবে খেলোয়াড়রা এখন পরিপূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছে এবং আলভালাদে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের সামনে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে প্রস্তুত,' যোগ করেন এই স্প্যানিশ কোচ।

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

8h ago