আলকারাজের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে সিনারের প্রথম উইম্বলডন শিরোপা

ছবি: এএফপি

গত জুন মাসে ইয়ানিক সিনারকে কুঁকড়ে যেতে হয়েছিল তীব্র বেদনায়। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের স্মরণীয় লড়াইয়ে কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরেছিলেন তিনি। পথ খোয়ানোর আগে যদিও প্রথম দুই সেট জিতে নিয়েছিলেন ইতালিয়ান তারকাই। মাত্র ৩৫ দিনের ব্যবধানে এবার মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন সিনার। সেই আলকারাজের বিপক্ষে প্রতিশোধের আনন্দে ভেসে উইম্বলডনের নতুন রাজা হলেন তিনি।

রোববার অল ইংল্যান্ড ক্লাবে অনুষ্ঠিত পুরুষ এককের ফাইনালে ৩-১ সেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিনার। প্রথম সেট হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিনটি সেট বগলদাবা করেন বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়। তিনি ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪ ও ৬-৪ গেমে হারান দ্বিতীয় বাছাই আলকারাজকে।

২৩ বছর বয়সী সিনারের এটি প্রথম উইম্বলডন শিরোপা ও সব মিলিয়ে চতুর্থ গ্র্যান্ডস্ল্যাম। এর আগে দুবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২০২৪ ও ২০২৫) ও একবার ইউএস ওপেনে (২০২৪) চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। ২২ বছর বয়সী আলকারাজের সামনে ছিল উইম্বলডনে টানা তৃতীয় ট্রফি উঁচিয়ে ধরার হাতছানি। কিন্তু এবার পারেননি পাঁচটি গ্র্যান্ডস্ল্যামজয়ী স্প্যানিশ তারকা।

টেনিসের পুরুষ এককে একসময় দাপট ছিল তিনজনের— রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচের। তাদের মধ্যে মহাকাব্যিক পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা পেতেন ভক্তরা। সাম্প্রতিক সময়ে সিনার ও আলকারাজ দিচ্ছেন সেই আমেজ। সবশেষ সাতটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন তারা দুজন। সিনার জিতেছেন চারটি, বাকি তিনটি আলকারাজ।

সবশেষ পাঁচ সাক্ষাতের প্রতিটিতেই আলকারাজের কাছে হেরেছিলেন সিনার। তিন ঘণ্টার একটু বেশি সময়ের লড়াইয়ে এবার ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভেঙেছেন তিনি। উইম্বলডন জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন স্বপ্ন পূরণের আনন্দের কথা, 'এটা খুবই স্পেশাল। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।'

টেনিসের উন্মুক্ত যুগে মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিনবার উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তির সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে আলকারাজের। তবে হতাশ হলেও সিনারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি, 'হেরে যাওয়াটা সব সময়ই কষ্টের। কিন্তু প্রথমেই অভিনন্দন জানাতে হবে সিনারকে। এই ট্রফিটা নিঃসন্দেহে তার প্রাপ্য ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago