বিশ্বকাপ জিতেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে কোহলি

ছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপরই এই সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি।

শনিবার বার্বাডোজে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে ভারত। কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা উৎসবের দিনে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কোহলি। ফাইনালে ছন্দ ফিরে পেয়ে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে জানান এই সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার কথা।

অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সঞ্চালক হার্শা ভোগলেকে ৩৫ বছর বয়সী কোহলি বলেন, 'এটাই ছিল আমার শেষ বিশ্বকাপ। আর ঠিক এটাই (শিরোপা) আমরা অর্জন করতে চেয়েছিলাম। কোনো কোনোদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রানই করতে পারবেন না। তারপর (আজকের মতো) এরকম কিছু ঘটবে। সৃষ্টিকর্তা মহান। যে দিনটিতে সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল, (সেদিন) আমি আমার কাজটা করেছি। এটা (এমন একটা বিষয়) ছিল যে, এখন কিংবা কখনোই নয়। ভারতের জার্সিতে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি (ম্যাচ ছিল এটা)। সবটুকু কাজে লাগাতে চেয়েছি।'

তার মতে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের এগিয়ে আসার পালা, 'শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরতে চেয়েছি, জোর করে কিছু করার চেয়ে পরিস্থিতিকে সম্মান জানাতে চেয়েছি । এটা (অবসর নেওয়া) "ওপেন সিক্রেট" ছিল। এখন পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নেওয়ার পালা। দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় দলকে এগিয়ে নেবে এবং (ভারতের) পতাকা উঁচু করে ধরবে।'

ফাইনালের আগে ব্যাট হাতে ভীষণ ধুঁকছিলেন কোহলি। ৭ ইনিংসে ১০.৭১ গড় ও ১০০ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন স্রেফ ৭৫ রান। সেই তিনিই জ্বলে ওঠেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে। ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত আগলে ১৯তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকেন কোহলি। ধীরেসুস্থে খেলে ৪৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণের পর উত্তাল হয়ে ওঠে তার ব্যাট। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বল মোকাবিলায় ৬ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান তিনি।

২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল ডানহাতি কোহলির। সেই ম্যাচে হারারেতে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। এই সংস্করণে ১২৫ ম্যাচে ৪৮.৬৯ গড় ও ১৩৭.০৪ স্ট্রাইক রেটে ৪১৮৮ রান করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩৮টি ফিফটি আছে তার নামের পাশে।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

8h ago