যে কারণে টি-টোয়েন্টি দল থেকেও বাদ পড়লেন আফিফ

Afif Hossain
আফিফ হোসেন। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সব ম্যাচ খেললেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা যায় ভিন্নতা। রান খরায় একাদশে জায়গা হারান আফিফ হোসেন। পরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্কোয়াডে থেকেও একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। শেষ ম্যাচের আগে তো ওয়ানডে দল থেকেই বাদ পড়েন, এবার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও তাকে রাখা হয়নি। গত সাড়ে তিন বছর ধরে টানা খেলতে থাকা আফিফের বাদ পড়া অনেকের কাছে চমক হলেও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছেন, পড়তি ফর্মের কারণেই দলে রাখা যায়নি তাকে।

গত বছর সেপ্টেম্বরে দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৫৫ বলে ৭৭ রান করার পর কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে খুব একটা আলো ছড়ায়নি আফিফের ব্যাট। সর্বশেষ ১২ ইনিংসে নেই কোন ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে তিনি যে পজিশনে ব্যাট করেন সেখানে ফিফটি হয়তো জরুরী না, দরকার প্রভাব তৈরি করা পারফরম্যান্স। সেখানেও ব্যর্থ এই বাঁহাতি। ১২ ম্যাচে ১৯.৪০ গড় আর স্রেফ ১১৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন তিনি। সাত নম্বরে নেমে ঝড় তোলার যে চাহিদা সেটা মেটেনি তার ব্যাটে। 

আফিফকে এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে না রাখার ব্যাখ্যা  দ্য ডেইলি স্টারকে দিয়েছেন হাবিবুল,  'সাম্প্রতিক ফর্ম (আফিফের বাদ পড়ার কারণ)। সাম্প্রতিক সময়ে ওর ছন্দ একটু উঠানামা করছে। এরকম সময়ে আমরা এলাউ করি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আবার ফর্মে ফেরাটা আরকি। এজন্য দলের বাইরে রাখা হয়েছে। সে আমাদের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় ও সব সময় বিবেচনায় আছে। হয় কি…ফর্ম যখন উঠানামা করে তখন (বাইরে রাখতে হয়)।'

আফিফকে স্কোয়াডে রাখলেও তার একাদশে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। এই অবস্থায় বসিয়ে না রেখে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে পাঠানো আদর্শ মনে হয়েছে নির্বাচকদের,  'এখানে (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) একাদশে খেলার সুযোগটা কমে গিয়েছিল তার। যার জন্য বলা হয়েছে বসে না থেকে খেল। আমরা চাই না ঘরোয়া ক্রিকেট চলার সময় কেউ জাতীয় দলের সঙ্গে বসে থাকুক। আমরা চাই যেন খেলার মধ্যে থাকে। সেজন্য তাকে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ঘরোয়াতে। বলা হয়েছে ঘরোয়াতে পারফর্ম কর, তাহলে আবার ফিরতে পারবে।' 

মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়ে ঢাকায় ফেরেন আফিফ। বুধবার প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নামেন তিনি। টি-টোয়েন্টি দল থেকে জায়গা হারানোর দিনে ৪১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় আফিফের। অভিষেক ম্যাচে তিনি কোন রান করতে পারেননি। লম্বা সময় পর ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খেলেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে ২৬ বলে করেন ৫২। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত টানা ৬১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৬২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তিন ফিফটি করেছেন। ২১.২৫ গড়ে করেন ১ হাজার ২০ রান। তবে স্ট্রাইকরেটটা ১২০.২৮ রেখেছে বড় প্রশ্ন। শেষ দিকের ঝড় তোলার চাহিদা তাতে খুব একটা মেটেনি। 

Comments

The Daily Star  | English

A blatant river grab

Confluence of Dhaleshwari and Shitalakkhya under siege from Shah Cement

11h ago