বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ ২০২৩

বাংলাদেশের পেস ত্রয়ীতে লণ্ডভণ্ড আয়ারল্যান্ড

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে  ১০১  করেছে আয়ারল্যান্ডের। টিকতে পেরেছে স্রেফ ২৮.১ ওভার। আয়ারল্যান্ড ইনিংসের সবগুলো উইকেটই নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।
hasan mahmud
৫ উইকেট নিলেন হাসান মাহমুদ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিলেটের আকাশের মন এদিনও ফুরফুরে হলো না। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি। খেলা অবশ্য গড়ালো ঠিক সময়েই। আরেকবার টসে জিতে মেঘলা আকাশের নিচে ব্যাট করার সাহস দেখালো আয়ারল্যান্ড। তবে কোন জবাব দিতে পারল না বাংলাদেশের পেসারদের গতি আর মুভমেন্টের। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ আর ইবাদত হোসেনের ঝাঁজে কোনরকমে কেবল তিন অঙ্ক পেরুতে পারল তারা।

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে  ১০১  করেছে আয়ারল্যান্ডের। টিকতে পেরেছে স্রেফ ২৮.১ ওভার। আয়ারল্যান্ড ইনিংসের সবগুলো উইকেটই নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেতে এমন ঘটনা প্রথমবার ঘটাল বাংলাদেশ। সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা তরুণ হাসানের। ক্যারিয়ার সেরা বল করে ৩২ রানে তিনি নেন ৫ উইকেট। ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন হাসান। ২৯ রানে ২ উইকেট নেন ইবাদত।

পল স্টার্লিংকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামা স্টিফেন ডোহানি প্রথম তিন ওভারের পুরোটাই নিজে স্ট্রাইকে ছিলেন। রান পেতে ধুঁকতে থাকেন তিনি। প্রথম তিন ওভারে আনেন কেবল ৪ রান। চতুর্থ ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে বাউন্ডারি মারেন স্টার্লিং।

পঞ্চম ওভারেই ধুঁকতে থাকা ডোহানিকে মুক্তি দেন হাসান। তার হালকা বেরিয়ে যাওয়া বল ডোহানির ব্যাটে ছোবল দিয়ে আশ্রয় নেয় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার হলেও স্টার্লিং আবার হন ব্যর্থ। হাসানের আচমকা ভেতরে ঢোকা বল খেলতে পরাস্ত হয়ে পায়ে লাগান তিনি। ৭ রান করে ফেরেন এলবিডব্লিউতে।

Taskin Ahmed
দারুণ বল করেন তাসকিন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এই সিরিজের আগে ওয়ানডেতে টানা রান পেতে থাকা হ্যারি টেক্টরও বুঝতে পারেননি হাসানের স্যুয়িং। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে ধরা দেন স্লিপে। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড।

এরপর লরকান টাকারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্যাম্ফার। পঞ্চম উইকেটে ৫৭ বলে আসে ৪২ রানের জুটি।  এরপর ১৯তম ওভারে এসে ইবাদত দেন জোড়া আঘাত। টাকারকে এলবিডব্লিউতে ছেঁটে ফেলার পর জর্জ ডকরেলকে প্রথম বলেই বোল্ড করে দেন তিনি।

ক্যাম্ফারকে একা রেখে ফিরে যান অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। তাসকিনের বলে টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে ক্যাচ তুলে দেন। দুই বল পরই তাসকিনের বলে উড়ে যায় মার্ক অ্যাডাইয়ারের স্টাম্প।

গ্রাহাম হিউম এসে খানিকটা সঙ্গ দেন ক্যাম্ফারের সঙ্গে। ২৯ বলে ১৭ রানের জুটির পর একা লড়তে থাকা ক্যাম্ফারই দেন বিদায়। হাসানের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে টপ এজড হয়ে ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে জমা পড়েন তিনি। হিউমকে এলবিডব্লিউ করে শেষ উইকেটও নেন হাসান। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ উইকেটের স্বাদ নেন এই ডানহাতি পেসার। 

 

Comments